প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো.জাকির হোসেন এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সাম্য ও সমতাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশের শতভাগ নাগরিককে সাক্ষরতার আওতায় আনতে হবে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (বিএনএফই) মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যেয় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষাই সমৃদ্ধ জীবনের চাবিকাঠি। শিক্ষাই আলোকিত আগামীর পথ দেখায়। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ঝরে পড়া শিশুসহ বয়স্কদের সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করে তোলার পাশাপাশি তাদের জীবিকায়নের সুযোগ তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে মন্ত্রণালয় বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক আবদুল করিম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, বিএনএফইর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, ইউনেস্কোর ঢাকা অফিস ইনচার্জ মিজ সুজান ভাইজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছা. নুরজাহান খাতুন।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিস্টিক ২০২২’ অনুযায়ী বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এখনো ২৩ দশমিক ২ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর।