শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

শপথ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তিন বিচারপতি।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তিন বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আবদুন নূর দুলালসহ নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিদের পরিবারের সদস্যরা।  

এর আগে দুপুরে হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ করেছেন।

তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।

এ তিনজনসহ আপিল বিভাগে এখন বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো নয় জন।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম

আশফাকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে জেলা আদালত ও ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

পরে ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

তিনি আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।

এছাড়া তিনি ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে কোরিয়াতে জুডিসিয়াল ডেভেলপমন্টে প্রোগ্রাম অংশ নেন।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের বাবা সাবেক উপ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম।

বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী

মো. আবু জাফর সিদ্দিকী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে জেলা আদালতে এবং ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

তিনি ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ সফর করেন। এছাড়া তিনি ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে কোরিয়াতে জুডিসিয়াল ডেভেলপমন্টে প্রোগ্রাম অংশ নেন।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন

জাহাঙ্গীর হোসেন এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ অক্টোবর জেলা আদালতে এবং ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

তিনি অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, নেপাল, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও মালয়েশিয়া সফর করেছেন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ঢাবি-জাবিতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখ প্রকাশ - dainik shiksha ঢাবি-জাবিতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখ প্রকাশ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স নিয়ে যা বললেন সারজিস - dainik shiksha সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স নিয়ে যা বললেন সারজিস পিটিয়ে হত্যার আগে সেই ব্যক্তিকে ভাত খেতে দিয়েছিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha পিটিয়ে হত্যার আগে সেই ব্যক্তিকে ভাত খেতে দিয়েছিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণির বিষয়-গ্রুপ পরিবর্তনের সময় বাড়লো - dainik shiksha দ্বাদশ শ্রেণির বিষয়-গ্রুপ পরিবর্তনের সময় বাড়লো ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা - dainik shiksha ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার প্রস্তাব - dainik shiksha সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0059340000152588