শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ শনিবার। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে জীবন দেওয়া ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩১তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্বৈরশাসকের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ডা. মিলন। ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একই বছরের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসনের পতন ঘটে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তারা।
পৃথক বিবৃতিতে শহীদ ডা. মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ প্রমুখ।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী দল, সংগঠনসহ শহীদের পরিবারের পক্ষ থেকে আজ বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদ ডা. মিলনের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করবে। বিএনপি সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিলনের কবরে ও মিলন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও মোনাজাত করবে।
বিএমএর কর্মসূচিতে রয়েছে- সকালে কালো ব্যাজ ধারণ, শহীদের কবর ও স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা প্রভৃতি। যুবলীগ, '৯০ এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাংলাদেশ জাসদ, বাম জোট নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে।