শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের অন্তর্কোন্দলে ফের উত্তপ্ত হয়েছে আবাসিক শাহপরাণ হল। ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্টের জের ধরে মাঝরাতে এ উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচটি গ্রুপের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি মহড়া ও হাতাহাতি হয়।
গত শনিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রড, স্ট্যাম্প এবং জিআই পাইপ নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে। একপর্যায়ে নিজেদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতেও জড়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট মুছে ফেলার জন্য ছাত্রলীগ নেতা ও ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম সীমান্তকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুডকোর্টে ডাকেন অন্য চার গ্রুপের নেতারা। এ সময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে ওইদিন মাঝরাতেই ছাত্রলীগের পাঁচটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, গ্রুপের মিটিং নিয়ে গত ১১ই মে রাতে ছাত্রলীগ নেতা আজিজুল ইসলাম সীমান্তের সঙ্গে তার সমর্থক ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমানের বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধরের অভিযোগ এনে সীমান্তের বিরুদ্ধে হল প্রভোস্ট বরাবর অভিযোগ দেন মিজানুর। তবে তার পরদিন (১২ই মে) হল প্রভোস্টের হস্তক্ষেপে দু’জনের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়।
এ সময় মিজানুর প্রক্টর বরাবর পূর্বের অভিযোগ তুলে নেয়া হয়েছে বলে লিখিত দেন। ঘটনার বিষয়ে আজিজুল ইসলাম সীমান্ত বলেন, নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটা সমাধান করে দিয়েছে। এ নিয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সঙ্গে কারও কোনো ঝামেলা হয়নি। হলে একটা বিষয় নিয়ে ছাত্রদের ঝামেলা হয়েছে। তবে সেটা সমাধান হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হলের সমস্যার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্যাটি সমাধান হয়ে গেছে, এখন আর কোনো ঝামেলা নেই।
শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, আমরা দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছি। তাদের মধ্যে একটু ঝামেলা ছিল আমরা কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। আপাতত কোনো ঝামেলা নেই। তবে পরবর্তীতে এমন কোনো সমস্যা হলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।