শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী।
নিহত আরিফ মিয়া (২২) বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে অবস্থিত এল সেইফ মেসে থাকতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার বাসিন্দা তিনি।
আরিফের বন্ধুরা জানান, আরিফ রাতে তাঁদের একজনকে মোবাইল ফোনে ইঙ্গিতপূর্ণ ম্যাসেজ দিয়েছিলেন। কিন্তু গভীর রাত হয়ে যাওয়ার তাঁরা ম্যাসেজটি খেয়াল করতে পারেননি। পরে তাঁরা ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে মেসের রুমে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে আরিফকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আনুমানিক ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। সকাল ৮টার দিকে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।’
অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, ‘কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এখনো জানা যায়নি। তবে বিভাগের শিক্ষকদের কাছে শুনেছি তার একটু মানসিক সমস্যা ছিল, এর আগেও একবার এমন ঘটনা করতে চেয়েছিল। আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা রওনা দিয়েছে। তাকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।’
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম রোকন বলেন, ‘খবর পেয়ে মাদানি কমপ্লেক্সের পাশের ভবনের পঞ্চম তলার মেসের সিলিং ফ্যান থেকে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
এর আগে দিবাগত রাত ১টার দিকে আরিফ তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেন ‘বিষণ্ন রজনী, কিছু চাওয়ার নেই। কিছু পাওয়ার নেই। ছাড়তে হবে চেনা গলি, চেনা রাস্তা, চেনা জগৎ। দুনিয়াটা খুবই নিষ্ঠুর। দুনিয়াটা খুবই নিষ্ঠুর। এই যে প্রেম, এই যে সৌন্দর্য, এই যে শরীর। নিরর্থক। এখানে স্রষ্টার নজর ও আসে না। সময় মেপে নিয়ম করে সূর্য-চন্দ্র জিয়িয়ে রাখে কিছু আকুল প্রাণ। জীবনটা এখানে কীটপতঙ্গের। ভালোবাসা এখানে স্থবির।’