পায়ের ওপর পা তুলে বসাকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চায়ের দোকানে পায়ের উপর পা তুলে বসা নিয়ে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রিশাদ ঠাকুর ও জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রব নাঈমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রিশাদ নাঈমকে থাপ্পড় মারলে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় রিশাদ চোখে আঘাত পান। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্র লীগের দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় নাঈমকে মারধর করে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া গ্রুপের অনুসারী ইফতেখার আহমেদ রানা, রিশাদ ঠাকুর ও ইউসুফ আহমেদ টিটুসহ গ্রুপের অন্যান্য কর্মীরা। ঘটনার একপর্যায়ে স্ট্যাম্পের আঘাতে মাথা ফেটে যায় নাঈমের। পরবর্তীতে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকরা আব্দুর রব নাঈমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলেও তিনি কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঘটনার বিষয়ে রিশাদ ঠাকুর বলেন, ‘সকালে একটা ছোট বিষয় নিয়ে এক জুনিয়রের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি হয়। তখন সে সিনিয়রের সঙ্গে বেয়াদবি করে। পরে বিষয়টি আমার গ্রুপের জুনিয়ররা জানার পর সমাধানের জন্য বসে তখন সে আবারও বেয়াদবি করে। এতে একটু হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি দুই গ্রুপের সিনিয়র এবং প্রভোস্টরা বসে সমাধান করে দেয়।’
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়া বলেন, ‘দোকানে নাস্তা করার সময় আমাদের গ্রুপের এক জুনিয়রের সঙ্গে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়। পরে আমরা জানতে পেরে সমস্যাটি সমাধান করে দিয়েছি। এখন আর কোন ঝামেলা নেই।’
সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমার গ্রুপের এক জুনিয়রের সঙ্গে অন্য গ্রুপের এক কর্মীর ভুল বুঝাবুঝি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। কি নিয়ে ঝামেলা হইছে সেটা আমি জানি না। তবে বিষয়টি এখন সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভাস্ট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান বলেন, ‘সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে সিনিয়র জুনিয়রের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। পরে দুই গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে বসে আমরা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। তবে যে শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে আমরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’