শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার

মোহাম্মদ জাকির হোসেন |

পৃথিবীর সব ধর্মেই শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শিক্ষকতাও মহৎ পেশা হিসেবে আখ্যায়িত। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই শিক্ষকতাকে মর্যাদার চোখে দেখা হয়। জাতির মহামূল্যবান সম্পদ শিক্ষক। শিক্ষকরা মানবসম্পদ সৃষ্টির কারিগর। মানবসম্পদ জাতির সমৃৃদ্ধি ও উন্নতির পূর্বশর্ত। মানব সৃষ্টির শুরুতেই শিখন-শেখানোর কাজ শুরু হয়েছিলো। আল্লাহ শিক্ষককের ভূমিকায় হযরত আদম (আ.) কে শিক্ষা দিলেন ‘এবং তিনি (আল্লাহ) আদমকে সব জিনিসের নাম শিখিয়ে দিলেন’ (সুরা আল বাকারা-৩১)। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি। আমার পক্ষ হতে পৌঁছাতে থাকো, যদিও একটি মাত্র আয়াত হয়। (বুখারী)

শিক্ষকের মূল কাজ পড়াশোনা ও গবেষণার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা। বিশ^ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষকের মন-মননের পরিবর্তন না হলে শিক্ষার্থী হবে অন্তঃসারশূন্য। ফলে শিক্ষার্থী বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করেও হবে অপকর্মকারী। পাঠশালা, মাদরাসা, মক্তব, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয় ও বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নানা ‘রঙ-বেরঙে’ বিভক্ত। শিক্ষকের এই বিভক্তি বিভিন্নভাবে বিভক্ত করছে জাতিকে। তৈল মর্দন বাদ দিয়ে শিক্ষককে তাঁর মূল কাজে ফিরতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের অভিভাবক হিসেবে শিক্ষককেই পথ দেখাতে হবে। 
অজানাকে জানার জন্য দরকার বইপড়ার অভ্যাস। নিয়মিত বইপড়ার অভ্যাসই শিক্ষককে করবে সমৃদ্ধ। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গভীর জ্ঞান না থাকলে শিক্ষার্থীরা হবেন বঞ্চিত। পাঠদানের নির্ধারিত সময় পার করাও শিক্ষকের জন্য হবে কষ্টসাধ্য। শিক্ষকের অগাধ পাণ্ডিত্যে শ্রেণিকক্ষ হয় আনন্দের। আর পাণ্ডিত্য অর্জনের সহজ উপায় বই পড়া। বিষয়ভিত্তিক বইয়ের বাইরেও একজন শিক্ষককে জ্ঞানের নানা স্তর পরিভ্রমণ করতে হয়। প্রোৎসাহী হতে হয় ধর্মের রীতিনীতি, সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি ও শিল্পকলা সম্পর্কে জ্ঞানার্জনে। 

শিক্ষক নিবিষ্ট থাকবেন শিক্ষাদর্শনের (Educational Philosophy) বিভিন্ন মতবাদের (যেমন-ভাববাদ, প্রকৃতিবাদ, প্রয়োগবাদ) অন্তর্গূঢ় তত্ত্ব অন্বেষণে। শিক্ষাদর্শন শিক্ষককের বৈগুণ্যহীন দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে করে সজাগ। শিক্ষার্থীর মেধা, শিক্ষাদানের পরিবেশ ও সময় অনুযায়ী শিক্ষককে নানামাত্রিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে সহায়তা করে শিক্ষাদর্শন। 

সাহিত্য মানুষকে জীবন ও জগতের দিকে করে আকৃষ্ট। আত্মার সমৃদ্ধির জন্য সাহিত্যপাঠ অপরিহার্য। সাহিত্য সৃজনশীল কর্ম। তাই সাহিত্যপাঠে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। মানুষের মনে নতুন নতুন সৃজনীপ্রেরণা জাগ্রত হয়। আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ববোধ শিক্ষার্থীর মনে প্রবুদ্ধ করতেও ভূমিকা রাখে সাহিত্য। তাই যেকোনো বিষয়ের শিক্ষকের জন্য সাহিত্য জ্ঞান অপরিহার্য। পাঠ উপস্থাপন, ভাষা প্রয়োগের নৈপুণ্য, প্রমিত উচ্চারণ, ছন্দ, তাল, লয়, যতি সম্পর্কে জ্ঞান প্রত্যেক শিক্ষকের বিচিন্তমান হওয়া উচিত। 

‘বাক্য বা পঙ্ক্তির শব্দগুলো সুখপাঠ্য হলেই বলতে পারি, অংশটুকু ছন্দিত’ (অধ্যাপক কালাম মাহমুদ, বাঙলা উচ্চারণের নিয়ম-কানুন, পৃ.২০২)। ছন্দ, তাল ও লয়হীন উপস্থাপনা শ্রীহীন, সৌন্দর্যহীন। একজন শিক্ষকের পরিমাণ (Measurement) ও মূল্যায়ন (Evaluation) সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা থাকা আবশ্যক। পরিমাণ ও মূল্যায়ন সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজনীয় অংশ। শিক্ষাব্যবস্থায় পরিমাণ হলো Qualification of test results এবং মূল্যায়ন ব্যবস্থার সঙ্গে পরীক্ষা (Examination) ও অভীক্ষা (Test) জড়িত। তাই এ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন না করলে শিক্ষার্থীর শিক্ষামূলক অভীক্ষা (Educational test), মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষা (Psychological test), আত্মবিবৃতিমূলক অভীক্ষা (Self reporting test) ও পর্যবেক্ষণভিত্তিক অভীক্ষা (Observational test) পরিচালনা অসম্ভব। আচরণের ইতিবাচক পরিবর্তনকে শিক্ষা বলা হয়। তাই শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে আচরণের সম্পর্ক রয়েছে। সমাজ-সংসারে নানা মানুষের সঙ্গে চলতে ফিরতে নানা অভিজ্ঞতায় আমাদের ব্যবহার ও আচরণের পরিবর্তন ঘটে। সেই পরিবর্তন ইতিবাচক হলে দৃষ্টিভঙ্গি হবে ইতিবাচক। আবার সেই পরিবর্তন নেতিবাচক হলে দৃষ্টিভঙ্গি হবে নেতিবাচক। তাই শিক্ষার্থীকে যথার্থ মানুষ হিসেবে গড়তে প্রয়োজন আচরণের Domain সম্পর্কে শিক্ষককের বিশদ অধ্যয়ন। Benjamin Bloom (১৯৫৬) তাঁর ঞTaxonomy of Educational Objectives গ্রন্থে শিখনের আচরণগত উদ্দেশগুলো ব্যাখ্যা করেছেন। শিক্ষার্থীর ভেতর Cognitive domain কার্যকর না হলে শিক্ষার্থী ভালো চিন্তা করতে পারবে না, Affective domain কার্যকর না হলে শিক্ষার্থী সৃষ্টিজগতের প্রতি অনুরক্ত হবে না। Psychomotor domain কার্যকর না হলে শিক্ষার্থী ভালো কাজে উৎসাহী হবে না। পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়তে শিক্ষার্থীর মাঝে এ তিনটি domain সমানভাবে কার্যকর করতে হবে। 

শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষককে বিভিন্ন সমস্যার সমুখীন হতে হয়। শ্রেণিকক্ষে থাকে দুুষ্ট, অমনোযোগী, মেধাবী ও দুর্বল শিক্ষার্থী। তাদের চাহিদার প্রতি সদ্বিচার করতে হয়। আবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ ইংরেজিতে, কেউ গণিতে, কেউ বা অন্য বিষয়ে দুর্বল। সেই বিষয়েও নিযুক্ত থাকতে হয় শিক্ষককে। এই যে নানা ধরনের শিক্ষার্থীর বিষয়ে সত্যানুসন্ধান অর্থাৎ প্রতিটি শিক্ষার্থীর চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে জেনে ক্লাস পরিচালনা করাই হলো কর্মসহায়ক গবেষণা। অর্থাৎ শিক্ষা সম্পর্কিত বাস্তব সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াই হলো কর্মসহায়ক গবেষণা। কর্মসহায়ক গবেষণার মাধ্যমে শিখন-শেখানো কার্যক্রমের ক্ষেত্রকে তাৎক্ষণিকভাবে উন্নত করা সম্ভব। শিক্ষক সফলভাবে তাঁর শিক্ষার্থীর সব আবেষ্টক দূর করতে পারেন কর্মসহায়ক গবেষণার মাধ্যমে। তাই শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন ঘটানোর জন্য কর্মসহায়ক গবেষণা অত্যন্ত কার্যকর। শিক্ষকের কাজটাই একটু আজব ধরনের (গিলবাট হায়েট-দি আর্ট অব টিচিং)। এই আজব ধরনের কাজ সম্পাদন করতে তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষমতা ও যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। শ্রেণিকক্ষে এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষককের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা, সময় ব্যবস্থাপনা, শিক্ষক-কর্মচারীদের আনুগত্য অর্জন, ভবিষ্যবাচ্যতা, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, গতিশীলতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, গবেষণামুখিতা, বিচার করার ক্ষমতা, শান্তি বজায় রাখার যোগ্যতা, শিক্ষার্থীর মনে শান্তি সৃষ্টির যোগ্যতা, নেতৃত্ব দানের যোগ্যতা, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, অংশীদারিত্বমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার যোগ্যতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ, আন্তর্জাতিক সমঝোতা ও উদ্বুদ্ধ করার যোগ্যতা ইত্যাদি।

পৃথিবীর সেরা শিক্ষকদের মধ্যেও উপযুক্ত ক্ষমতা ও যোগ্যতাগুলো ছিলো। তাছাড়া মানবিক গুণের সমাহার ছিলো তাঁদের মধ্যে। হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। তাঁর শিক্ষাদান পদ্ধতি ছিলো আধুনিক মনোবিজ্ঞান সম্মত। হযরত আলী (রা.) শিক্ষক হিসেবে অধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁর জ্ঞানের ব্যাপকতা সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন, আমি জ্ঞানের ঘর আর আলি তার রাজা। 

জীবনের পূর্ণতা বা স্বর্গ লাভের পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষা দিতে আবির্ভূত হয়েছিলেন যীশুখ্রিস্ট। প্রাচীন সমাজের সামাজিকতা ও শৃঙ্খলাবোধ আনয়নের প্রধান রূপকার চীনের খ্যাতনামা কনফুসিয়াস (খ্রি.পূ ৫৫০-খ্রি. পূ৪৭৯)। Know theyself- এর মতো জ্ঞানগর্ভ কথা বলার জন্য যাঁকে সারা পৃথিবীর মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি একজন দার্শনিক শিক্ষক সক্রেটিস (খ্রি.পূ ৪৭০-খ্রি.পূ ৩৯৯)। শিখনে বৈপ্লবিক চেতনার সূত্রপাত করেছিলেন ভাববাদ দর্শনের প্রবর্তক প্লেটো (খ্রি.পূ ৪২০-খ্রি.পূ ৩৪৭) ছিলেন একজন আপাদমস্তক শিক্ষক। জ্ঞানের মহাকাশ স্বরূপ বাস্তবববাদী দার্শনিক এ্যারিস্টটলও ছিলেন শিক্ষক। সুফী মতবাদের প্রবর্তক ইমাম আল গাজ্জালী ছিলেন একজন শিক্ষক। রুশো (১৭১২-১৭৭৮ খ্রি.) ছিলেন প্রকৃতিবাদী শিক্ষক। রুশোর প্রকৃতিবাদের সমর্থক ও সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির আত্মোন্নতি করার প্রত্যয় যিনি ব্যক্ত করেছিলেন-তিনি সুইজারল্যান্ডের শিক্ষক জোহান হেনরিখ পেস্তালৎসি (১৭৪৬-১৮২৭ খ্রি)। তাঁদের শিক্ষাদান পদ্ধতিও ছিল আধুনিক। আধুনিক শিক্ষাদর্শন, শিক্ষাদান পদ্ধতি, শিক্ষা নিয়ে যত গবেষণা সবই তাঁদের শিক্ষাদর্শন বিশ্লেষণ করেই নতুন মাত্রা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের শিক্ষাদর্শনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক ছিলো আধ্যাত্মিক, শ্রদ্ধার। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘শ্রদ্ধার সঙ্গে দান করলেই শ্রদ্ধার সঙ্গে জ্ঞান গ্রহণ করা সম্ভব হয়। যেখানে সেই শ্রদ্ধার সম্পর্ক নেই, সেখানে আাদান-প্রদানের সম্বন্ধ কলুষিত হইয়া উঠে।’  তাই শিক্ষককে শ্রদ্ধেয় না হয়ে উপায় নেই। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই সমাজের অস্পৃশ্যরা যেমন শিক্ষককে শ্রদ্ধা করেছেন, তেমনি সমাজের বা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিও শিক্ষককে শ্রদ্ধা করেন। এটাই শিক্ষককের সুখ। এটাই শিক্ষককের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। 

শিক্ষকের মর্যাদার কথা বলতে গিয়ে চাণক্য পণ্ডিত বলেছেন, ‘গুরু যদি একবর্ণ শিষ্যরে শিক্ষায় কোনো দিন, পৃথিবীতে নাই দ্রব্য যা দিয়ে শোধ দিবে ঋণ।’ কিন্তু শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে, অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিয়ে কেউ তেমন কাজ করছেন না। পৃথিবীর বিখ্যাত শিক্ষকের জীবনী থেকে জানা যায়, তাঁরা সবাই ছিলেন অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল। আর অস্বচ্ছলতাই হলো শিক্ষক জীবনের বড় অসুবিধা। ‘পেশা হিসেবে শিক্ষকের বেতন সত্যি কম। কখনও কখনও তিনি একজন অদক্ষ মজুরের মতোই সামান্য মজুরি পেয়ে থাকেন, অথচ শিক্ষক মজুরের মত পোশাক পরে তাদের মতো জীবন-যাপন করতে পারেন না’ (গিলবাট হায়েট-দি আর্ট অব টিচিং, পৃ-১৬)। শিক্ষকতা হলো ব্রত যে ব্রতের মাধ্যমে শিক্ষক ইহকাল ও পরকালের আলো বিতরণ করেন। এক অন্তর থেকে অন্য অন্তরে, এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে এবং এক যুগ থেকে অন্য যুগে প্রবেশ করেন। শিক্ষক কৃষ্টি-সভ্যতার নির্মাতা ও রক্ষক। 

ধর্ম, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, দর্শন, সাহিত্য, শিল্পকলার অর্ন্তমাধুর্য প্রসারে উদ্ব্যস্ত থাকেন। আলোকিত মানুষ হিসেবে বিবর্তনের অনুঘটকের দায়িত্ব পালন করেন। সৎ কর্মশীল ব্যক্তি হিসেবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ব্যবহারে আত্মপ্রত্যয়ী। শিক্ষকের চেতনায় বিকশিত হয় স্বদেশ প্রেম। দেশের কল্যাণ ভাবনায় শিক্ষক অগ্রগামী। অজ্ঞতার অন্ধকার দূরীভূত করার জন্য তিনি থাকেন সচেষ্ট। ইচ্ছা করলেই যে মানুষ শিক্ষক না হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করতে পারতেন অথবা কর্মের অন্যান্য শাখায় অনুপ্রবেশ করে ঊধর্¦তনে জয়ী হতেন। কিন্তু যে শিক্ষকতাকেই জীবনের পরম ব্রত হিসেবে গ্রহণ করলেন, তিনিই তো মাথা উঁচু করে বলতে পারবেন- শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার। 

লেখক : অধ্যক্ষ, পাঁচরুখী বেগম আনোয়ারা ডিগ্রি কলেজ, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা - dainik shiksha ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ বা ১১ মে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ - dainik shiksha কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঘণ্টা চালুর নির্দেশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0058269500732422