শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে ১৫ লাখ টাকা বকেয়া যবিপ্রবি

যশোর প্রতিনিধি |

৬৭ শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের মারফতে এ তথ্য জানা যায়। তিনি এ বকেয়ার ব্যাপারে অফিস আদেশ সই করেছিলেন।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৬৭ শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বকেয়া ভাড়া রয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা দেনা রয়েছেন।

এছাড়া এনএফটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুভাশিষ দাস শুভর বকেয়া ভাড়ার পরিমাণ ৬৪ হাজার ৫০০। গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিমা আক্তারের বকেয়া ভাড়া রয়েছে ৫৭ হাজার। রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তুহিনুর রহমান জয়ের বকেয়া ভাড়া ৫১ হাজার টাকা ও এমবি বিভাগের প্রভাষক সামিনুর রহমানের বকেয়া ৪৫ হাজার টাকা। এনএফটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদের বকেয়া ভাড়া ২৮ হাজার ৫০০ টাকা। 

এভাবে আরও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের ভাড়া বকেয়া রয়েছেন। তারা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের তিন ও দুই কক্ষের বাসায় ভাড়া থাকেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি সূত্রের দাবি, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ কমিটির অনুমোদন ব্যতীত ইচ্ছা মতো শিক্ষক ফ্লাটগুলোয় তুলছেন। বিনা অনুমতিতে বাসায় ওঠানো এবং তথ্য গোপন করে কম ভাড়ায় মাসের পর মাস থাকায় এখন শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিকট হতে বকেয়া আদায় করা হচ্ছে।

ভাড়া বকেয়া রাখা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। পরবর্তীতে এ বিষয়ে জানানো হবে।

যবিপ্রবি শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও এনএফটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, বাসা বরাদ্দ কমিটি মিটিং করেছে দেরিতে। তাদের গাফিলতির কারণে এ বকেয়া হয়েছে। আমরা শিক্ষকরা শতভাগ সততার সাথে বলছি, বাসায় ওঠার আগে বরাদ্দ কমিট মৌখিক অনুমতিক্রমেই ঘর বরাদ্দ নিয়েছি। সেক্ষেত্রে আমাদের সু-স্পষ্ট বক্তব্য অফিসিয়ালি সিদ্ধান্ত গ্রহণে পর থেকে বকেয়া পরিশোধ করা হবে। ইতিমধ্যে আমরা সেই বকেয়া পরিশোধ শুরু করেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘর বরাদ্দ কমিটির কেউ শিক্ষকদের মানহানি করতে এ ধরণের তথ্য ফাঁস করেছেন, যা সংগতি পূর্ণ নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঘর বরাদ্দের বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। আমার অথরিটি বলতে পারবেন। এ বিষয়ে আমাকে নোটিশ দিতে বলা হয়েছে, আমি দিয়েছি।

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতার দাবি - dainik shiksha পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতার দাবি শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না - dainik shiksha শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে - dainik shiksha ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে ‘রাজাকার’ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ - dainik shiksha ‘রাজাকার’ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ উচ্চশিক্ষায় ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ - dainik shiksha উচ্চশিক্ষায় ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048501491546631