শিক্ষক কল্যাণট্রাস্টের টাকা নিয়ে হয়রানির অভিযোগ: দুদকের অভিযান

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কল্যাণট্রাস্ট ও অবসর সুবিধার টাকা পাওয়া নিয়ে দীর্ঘ সূত্রিতা ও পদ্ধতিগত বিষয় সরেজমিন দেখতে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে’গিয়েছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ কল্যাণট্রাস্টে ও অবসর বোর্ড অফিসে যায়।

জানা গেছে, এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে সেবাগ্রহীতা সেজে রাজধানীর নীলক্ষেতে ব্যানবেইস বিল্ডিংয়ে অবস্থিত অবসর সুবিধা বোর্ডের দফতর প্রাঙ্গণে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। এ সময় সরকারিকরণ হয়ে যাওয়া কয়েক শত শিক্ষকের কল্যাণট্রাস্টের টাকা না পাওয়া বিষয়টি আলোচনা হয়। কয়েকজন শিক্ষক সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানা যায়। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের  স্বাভাবিক নিয়মে টাকা দেওয়া এবং বিশেষ বিবেচনায় দ্রুত টাকা দেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান দুদক টিম। 

অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী দুদক টিমকে জানান, বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হজযাত্রী, অসুস্থ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ বিবেচনায় দ্রুতগতি টাকা দেওয়ার কথা জানান।  

এ সময় প্রয়োজনীয় ফান্ডের অভাবে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে দেয়া যাচ্ছে না বলে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে পরিলক্ষিত হয়। তা ছাড়া অবসর সুবিধা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জনবল সংকট ও ফান্ড সংকটের বিষয়টি এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যদের কাছে তুলে ধরেন।

সার্বিক বিবেচনায়, ফান্ড সংকট এবং পর্যাপ্ত জনবলের অভাবের কারণে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হয়রানি/ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে মনে করেন এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা।

এ ছাড়া বিগত বছরগুলোতে প্রাপ্ত মোট আবেদন, নিষ্পত্তিকৃত সাধারণ আবেদন ও বিশেষ বিবেচনায় নিষ্পত্তিকৃত আবেদনের তালিকা সংগ্রহ করেন টিমের সদস্যরা।

সংগৃহীত রেকর্ড প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোনো অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যথাসময়ে আবেদন করার পর তার কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পান কমপক্ষে ২ বছর পর এবং অবসর সুবিধা (পেনশন) পান কমপক্ষে ৩ বছর পর।

তবে বিশেষ বিবেচনায় কেউ কেউ ওই সময়ের আগেই পেনশন সুবিধা পেয়ে থাকেন। কী কী ‘বিশেষ বিবেচনায়’ কোন কোন ধরনের আবেদনকারীকে দ্রুত পেনশন দেয়া হয়েছে সেসব রেকর্ডপত্রও সংগ্রহ করে দুদক টিম।

সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক টিম পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
একাদশ-দ্বাদশ বাংলা-ইংরেজির সিলেবাস প্রকাশ - dainik shiksha একাদশ-দ্বাদশ বাংলা-ইংরেজির সিলেবাস প্রকাশ ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঠুঁটো জগন্নাথ অধ্যাপকের পকেটে ৬০ লাখ টাকা - dainik shiksha ঠুঁটো জগন্নাথ অধ্যাপকের পকেটে ৬০ লাখ টাকা সব কয়টারে গু*লি কইরা মা*রমু - dainik shiksha সব কয়টারে গু*লি কইরা মা*রমু স্কুলে ভর্তি: সরকারিতে জোয়ার, বেসরকারিতে ভাটা - dainik shiksha স্কুলে ভর্তি: সরকারিতে জোয়ার, বেসরকারিতে ভাটা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা - dainik shiksha স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028820037841797