সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাকে সরকারি করাসহ একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক জাতীয় সমন্বয় কমিটির নেতারা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
এসময় তারা রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো রেজিস্টার্ড ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা কিন্ডারগার্টেনের মতো ভাড়া বাড়িতে বেসরকারি বা প্রাইভেট ইবতেদায়ি মাদরাসা চালু করার অনুমতি দেয়ারও দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে ড. আব্দুস সবুর মাতব্বর বলেন, ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষার্থীর যে সংকট তা দূর করতে এবং আলিয়া মাদরাসা শিক্ষাকে পূর্ণাঙ্গ রুপ দিতে চালু করা হয়েছিলো ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা’।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ১৭ হাজার ৮০টি মাদরাসা নিয়ে যাত্রা শুরু করা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে আর্থিক, একাডেমিক, অবকাঠামো ও পরিবেশগতভাবে পঙ্গু করে রেখেছিলো। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে একই অর্ডিনান্সের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারি করা হলেও রেজিস্টার্ড ইবতেদায়িকে সরকারি করা হয়নি। আজকের এই দিনেও ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের বেতন যথাক্রমে ৩ হাজার ৫০০ ও ৩ হাজার ৩০০ টাকা মাত্র।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাউসুদ তালুকদার বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ও ফিডিং ব্যবস্থা থাকলেও ইবতেদায়ি মাদরাসায় তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছ। আওয়ামী লীগ সরকার ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদেরই শুধু বঞ্চিত ও উপেক্ষিত করেনি মাদরাসা শিক্ষা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাকে সরকারিকরণের ঘোষণা দিতে হবে, রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো রেজিস্টার্ড ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি দিতে হবে এবং বেতন-ভাতাদি দিতে হবে, প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে বাড়ি ভাড়া ও রুম ব্যবস্থপনার শর্তে ইবতেদায়ি মাদরাসা চালু করার অনুমতি দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি গ্রামে এবং শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে সরকারি ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, স্বীকৃত সব ইবতেদায়ি মাদরাসাকে উপবৃত্তি ও ফিডারের আওতায় আনতে হবে, ইবতেদায়ি মাদরাসাসহ সব মাদরাসা তদারকির জন্য আলাদা ডিও এবং এটিও নিয়োগ দিতে হবে।