ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরসমান পানি জমেছে। পথচারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
এদিকে ছুটির দিন শুক্রবার যানবাহন কম থাকায় ভিজে ভিজেই গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ ছাতা ব্যবহার করলেও তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে একাকার। এছাড়া হাঁটুপানি পেরিয়েই গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন অনেকেই।
ভোর ৬টা থেকেই ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। থেমে থেমে এই বৃষ্টি চলছে। কারওয়ান বাজার, শাহজাহানপুর, মালিবাগ রেলগেট, মৌচাক, মগবাজার, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, তেজকুনি পাড়া, ধানমন্ডিসহ, পশ্চিম শ্যাওড়াপাড়ার বর্ডারবাজার, দক্ষিণ মনিপুরের মোল্লাপাড়াসহ রাজধানীর অনেকে রাস্তায় এরই মধ্যে পানি জমে গেছে।
রাজধানীর মগবাজার এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি অলি-গলিসহ মূল সড়কেও হাঁটু পরিমাণ পানি জমেছে। এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তায় তুলনামূলক মানুষজন কম দেখা গেছে।
বৃষ্টিতে বেশি বিপাকে পড়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়া চাকরিপ্রার্থীরা। ইমরান খান নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই যথাসময়ে বাসা থেকে বের হতে পারেননি। এদিকে রাস্তায় তেমন বাস চলাচল করছে না। এই সুযোগে সিএনজি-রিকশাচালকরা ভাড়া দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
মিরপুর এলাকার সালমান সাঁকো নামের এক পথচারী বলেন, অফিসের উদ্দেশে বের হয়েছিলাম। এখন তো দেখি রাস্তায় কোমরসমান পানি। হেঁটে যে অফিসে যাবো, সেই উপায়ও নেই। এদিকে ১০০ টাকার সিএনজি ভাড়া ৩০০ টাকা নিচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে আজ বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। মেঘলা থাকতে পারে সারা দেশের আকাশ। এতে রোদের দেখা কম পাওয়া যেতে পারে। ফলে সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে আসতে পারে। আর আগামীকাল শনিবার থেকে বৃষ্টি আবার কমে আসতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল বলেছে, মৌসুমি বায়ু আবারও শক্তিশালী হয়ে ওঠায় বৃষ্টি বেড়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর মেঘ দেশের উপকূল দিয়ে প্রবেশ করছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল দিয়ে মেঘ বেশি আসছে। সিলেটসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বাধা পেয়ে বৃষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছে। সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।