দৈনিক শিক্ষাডটকম, কুড়িগ্রাম : ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা দেয়ায় কুড়িগ্রামে ১২ জন প্রার্থী আটক হয়েছেন। আর তিনজন প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দীন সরকার বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপে শুক্রবার সকাল ১০টায় রংপুর,বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সব জেলাগুলোতে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে এ পরীক্ষা ঘিরে জেলায় তৎপর হয়ে উঠে কিছু কুচক্রীমহল। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে এবং চুক্তিভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ (হল কন্ট্রাক্ট) নিয়ে অসদুপায় অবলম্বনের আশঙ্কা করেন অনেক চাকরিপ্রত্যাশী। তবে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে স্বচ্ছভাবে এ পরীক্ষা নেয়ার আয়োজন করে। কিন্তু জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে শুক্রবার অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ প্রার্থীকে বহিষ্কার ও আরো ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় জেলার ৯ উপজেলায় সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৪০০টির বেশি শূন্য পদের বিপরীতে ২৬ হাজার ৮০৫ জন চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন করেন। কুড়িগ্রামে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে মোট ৪৫টি কেন্দ্রে ওই নিয়োগ পরীক্ষার এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তা সমাধানের চেষ্টা ও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে কিংবা আপত্তিকর ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে ৩জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে থেকে ৪ জন,সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১ জন, রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন,পুলিশ লাইন্স স্কুল থেকে ২জন, নাগেশ্বরী মহিলা কলেজে থেকে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও বহিষ্কার করা হয়েছে রাজারহাট মীর ইসমাইল হোসেন কলেজ কেন্দ্রোর ১ জন, নাগেশ্বরী মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ১জন ও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের কেন্দ্রোর ১ জন প্রার্থী।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দীন সরকার জানান, আমাদের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেটসহ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন কেন্দ্রে অপকর্মকারীদের বহিস্কারসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এসব গ্রেফতারকৃতদের নিয়মিত মামলা দিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, এতো স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও বেশ কিছু প্রার্থী অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এসব অপরাধীদের বহিস্কার ও গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।