শিক্ষক নিয়োগ : শেষতক ধরাই খেলেন ১২৩ জাল সনদধারী

রুম্মান তূর্য |
শেষ তক ধরাই খেলেন ১২৩ জন প্রার্থী। জাল নিবন্ধন সনদ নিয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চূড়ান্ত যাচাইয়ে বিষয়টি ধরা পড়েছে।  তাই অল্পের জন্য তাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে জাতি। নিয়োগের সুপারিশ তালিকায় ঠাঁই হয়নি তাদের।    
 
বিষয়টি নিশ্চিত করে এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, যাচাই বাছাইয়ে ১২৩ জন প্রার্থীর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাই তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।
 
কিন্তু জাল সনদেও কিভাবে নিয়োগের জন্য তাদের নির্বাচিত করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণত কোনো একজন নিবন্ধিত প্রার্থীর রোল নম্বর ও তিনি কোন ব্যাচে নিবন্ধিত এসব তথ্য সংগ্রহ করে অসৎ ব্যক্তিরা জাল সনদ তৈরি করেন। 
 
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রার্থীর নামও একই থাকে। তবে বাবা-মায়ের নাম ও অন্যান্য তথ্য যাচাই করে আমরা নিশ্চিত হতে পারি, কোন সনদটি জাল ও কোনটি সঠিক। কেউ যখন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কোনো প্রাথীর সনদ জাল করে আবেদন করেন তখন এনটিআরসিএর সার্ভারে উত্তীর্ণ প্রার্থীর রোল নম্বরটিই শনাক্ত হয়। তথ্যে মিল থাকায় হয়তো আসল প্রার্থীই আবেদন করেছেন বলে সার্ভার রিড করে।  ফলে কম্পিউটার সিস্টেমও বিভ্রান্ত হয়ে তাদের নির্বাচিত করে। তবে পরে যাচাই-বাছাইয়ে অন্যান্য তথ্য দেখে জাল সনদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
 
এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, জাল সনদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো প্রার্থী জাল সনদ নিয়ে শিক্ষকতা করতে পারবেন না। সে সুযোগই নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারো সনদ সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে তা এনটিআরসিএ কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। কোনো শিক্ষক জাল সনদধারী বলে শনাক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বলা হয়।
 
জানা গেছে, নির্বাচিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশের আগে তাদের সনদ নিয়ে যাচাই বাছাই করেছিলো এনটিআরসিএ। এই যাচাইয়েই জাল সনদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে। গত বুধবার শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ২৭ হাজার প্রার্থীকে চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। 
 
প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাল সনদে কর্মরত আছেন কয়েক হাজার শিক্ষক। তাদের মধ্যে সহস্রাধিক শিক্ষককে শনাক্ত করেছিলো পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর। ওই জাল শিক্ষকদের মধ্য থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৬৭৮ জন কথিত মানুষ গড়ার কারিগরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আর ওই ৬৭৮ জনের মধ্যে এমপিওভুক্ত ৪৭৯ শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে তাদের এমপিও বাবদ নেয়া সব টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছিলো। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
‘২৬ লাখ টাকা’র প্রধান শিক্ষক নাজমার শাস্তি দাবি আনন্দময়ী স্কুল ছাত্রীদের - dainik shiksha ‘২৬ লাখ টাকা’র প্রধান শিক্ষক নাজমার শাস্তি দাবি আনন্দময়ী স্কুল ছাত্রীদের জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইএফটিতে বেতন: ব্যাংক হিসাব নিয়ে এমপিও শিক্ষকদের অসন্তোষ - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন: ব্যাংক হিসাব নিয়ে এমপিও শিক্ষকদের অসন্তোষ পবিপ্রবিতে গাঁজাসহ ৫ মাদকসেবী আটক - dainik shiksha পবিপ্রবিতে গাঁজাসহ ৫ মাদকসেবী আটক ভর্তিতে লটারি বাতিলের দাবিতে সড়ক আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - dainik shiksha ভর্তিতে লটারি বাতিলের দাবিতে সড়ক আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রাথমিকের ১০ম গ্রেডের দাবি সর্বজনীন - dainik shiksha প্রাথমিকের ১০ম গ্রেডের দাবি সর্বজনীন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026259422302246