দৈনিকশিক্ষাডটকম, দিনাজপুর : দিনাজপুর সদর উপজেলার মহব্বতপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসায় এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চুক্তিবদ্ধ প্রার্থীই পেলেন নিয়োগ। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিরাজুল ইসলাম বরাবর অত্র মাদরাসার এবতেদায়ী সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক প্রতিনিধি শওকত আকবর অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর সদর উপজেলার মহব্বতপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসায় এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক পদশূণ্য থাকায় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই ওই মাদরাসার সুপার মিজানুর রহমানের সাথে দিনাজপুর শহরের উপশহর স্টাফ কোয়াটার এলাকার (বর্তমান ঠিকানা) ইসমাইল হোসেনকে ওই পদে নিয়োগের চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক সুপার মিজানুর ইসমাইলের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেয়া হয়। আর ইসমাইলকে নিয়োগ প্রদানে কোন ধরনের বাধা যেন না হয় সেজন্য সুপার ও ইসমাইল কর্তৃক তিনজন ডামি প্রার্থীকে আবেদন করানো হয়। গতকাল শনিবার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অভিযুক্ত ইসমাইলেই নিয়োগ প্রদান কর হয়।
নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন মাদরাসা বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও বগুড়া সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ ইউসুফ, দিনাজপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: মিরাজুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠান সভাপতি আল মামুনুর রশিদ ও সুপার মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে মহব্বতপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সুপার মিজানুর রহমান জানান, নিয়োগের বিষয়ে কোনো প্রার্থী আমার কাছে অভিযোগ করেনি। আর টাকা লেনদেনে আমি জড়িত নই।
দিনাজপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিরাজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তবে যেসময় অভিযোগ দিয়েছে তখন তদন্ত করার সুযোগ ছিলো না। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হয়েছে। আমি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ ইউসুফকে মৌখিক অভিযোগের বিষয়টি অবগত করেছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই নিয়োগ প্রদানের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
মাদরাসা বোর্ড কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও বগুড়া সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সহকারী অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, আমি কোনো ধরনের অভিযোগ পাইনি। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যে উত্তীর্ণ হয়েছে, তাকেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে।