দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : শিক্ষক নিয়োগে বয়সে ছাড় দাবি করেছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। তারা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে তাদের নিবন্ধন পরীক্ষার প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগে গেছে। তাই তারা শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে করোনা মহামারিতে সরকার ঘোষিত বয়সের ছাড় চাচ্ছেন।
সোমবার রাজধানীর ইস্কাটনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তারা দাবি জানান। মানববন্ধনে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা অংশ নেন।
তারা ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করাদের ক্ষেত্রে বয়সের ছাড় দিয়ে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে তাদের আবেদনের সুযোগ দেয়ার দাবি জানান।
আরো পড়ুন : শিক্ষক নিয়োগে আর নয় বয়সের ছাড়
মানববন্ধনে তারা বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে প্রায় চার বছর সময় লেগে যায়। অথচ, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সময় আমাদের অনেকের বয়স ৩১, ৩২, ৩৩ এবং ৩৪ বছর থাকলেও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর্যন্ত অনেকে বয়স ৩৫ বছর হয়ে গেছে, অনেকে ৩৫ বছর হওয়ার পথে। তাই তারা বয়সের ছাড় দেয়ার দাবি জানান।
প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকটি গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের শিথিল ছিলো ৩৯ মাস। কিন্তু ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়স শিথিল থাকবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। করোনায় আসল ভুক্তভোগী ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রার্থীরা।
যদিও এনটিআরসিএর কর্তারা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে সরকার ঘোষিত ৩৯ মাস বয়স ছাড়ের মেয়াদ শেষ। তাই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে নিয়োগে আর বয়সের ছাড় পাবেন না নিবন্ধিত প্রার্থীরা। প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত চলা চারটি শিক্ষক নিয়োগ চক্রের তিনটিতে বয়সের ছাড় পেয়েছিলেন। তবে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে সে সুযোগ আর মিলছে তাদের।
করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষতি পোষাতে আবেদনের ক্ষেত্রে বয়সে তিন দফায় মোট ৩৯ মাস ছাড় দিয়েছিলো সরকার। বিসিএস ছাড়া সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত সব চাকরির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য ছিলো। প্রথম দফায় বয়সসীমায় ২১ মাস ছাড় দিয়ে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সবশেষ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২২ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমায় ৩৯ মাস ছাড় দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়। যার মেয়াদ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুন শেষ হয়েছে।