শিক্ষক পদে আবেদনের সুযোগ দাবিতে নিবন্ধনধারীদের মানববন্ধন

এম. এম. তানভীর হাসান , দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করে অন্তত একবার আবেদনের সুযোগ চায় ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা। বুধবার (২২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।

মানবন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান ও সচিবসহ অন্যান্যদের অদক্ষতা ও অবহেলায় ১৭তম নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান ও সচিব নিবন্ধনধারীদের সঙ্গে কলোনীযুগের আচরণ করেন।

আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। করোনার অজুহাত দিয়ে দীর্ঘদিন পরীক্ষা আয়োজন থেকে বিরত থেকেছে এনটিআরসিএ। তাদের কারণে আমাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। আমরা আবেদনের সুযোগ চাই। আবেদনের সুযোগ না দিলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। দাবি আদায় না নলে আমরণ অনশনে যাবেন। 

১৭তম নিবন্ধন ফোরামের উত্তম সরকার জানান, ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের গ্যাড়াকলে আমাদের জীবন আটকা পড়েছে। এর দায় এনটিআরসিএর। আমরা আবেদনের সুযোগ চাই। সারাদেশের ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীদের আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।

তারা আরো বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে প্রায় চার বছর সময় লেগে যায়। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সময় আমাদের অনেকের বয়স ৩১, ৩২, ৩৩ এবং ৩৪ বছর থাকলেও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর অনেকের বয়স ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে।

জমির উদ্দীন মাবন্ধনের জানান, এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছি।  তখন ‍পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের তুলে দিয়েছেন। তাই আমরা প্রেসক্লাবের সামনে এসেছি, এখন থেকে এখানেই আন্দোলন কর্মসূচি দেবো। প্রেসক্লাবই দাবি-দাওয়া জানানোর আসল জায়গা। 

এর আগে আবেদনের সুযোগ চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

মানবন্ধন শেষে েএকজন নিবন্ধনধারী বলেন, রিট ব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পরে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন ১৭তম ৩৫ প্লাসদের অনেকে। আইনী লড়াইয়ে হেরে গেলেও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী তা তার মোয়াক্কেলদের জানানানি। এবার নতুন খপ্পড়ে পড়েছেন কেউ কেউ। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ - dainik shiksha শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053949356079102