শিক্ষক বদলি নীতিমালার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ কবে

রেজাউল ইসলাম |

সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের বদলি প্রক্রিয়া দুনিয়াজুড়ে একটি স্বাভাবিক বিষয়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের কিছু কিছু প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও বদলির রেওয়াজ প্রচলিত আছে। মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা বদলি নীতিমালা, যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো বদলি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে। বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এ অধিদপ্তরের আওতাধীন উচ্চশিক্ষা স্তরের সরকারি কলেজসমুহের জন্য একটি সুষ্ঠু বদলি নীতিমালা থাকলেও মাধ্যমিক সেকশনের জন্য নেই সেরকম কোনো নীতিমালা। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার ওপরে।

একটি দেশের প্রশাসনকে গতিশীল, কার্যকর, জবাবদিহিমূলক এবং দুর্নীতিমুক্ত করে গড়ে তুলতে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এক কর্মস্থল থেকে অন্যত্র বদলির ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সরকারও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর এক কর্মস্হল থেকে অন্যত্র বদলি করে থাকে। নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, সামরিক বাহিনীসহ সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানেই এমন বদলি কার্যক্রম চলে এবং সরকার বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারীদের বদলির ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের নিকট অর্পণ করেছে। তবে, নির্দিষ্ট কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকার জনস্বার্থে এইরূপ বদলির ক্ষমতা সংরক্ষণ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের এক কর্মস্থল হতে অন্য কর্মস্হলে বদলির ক্ষমতা সরকার নিজেই সংরক্ষণ করতে পারে।

বাংলাদেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বদলি নীতিমালায় বলা আছে, একই পদে ৩ বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বেই মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও এদের অধীনস্থ দপ্তর/পরিদপ্তরসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নতুন পদে বা স্থানে বদলি করতে হবে। কর্মকর্তা- কর্মচারী সকলের ক্ষেত্রে উক্ত আদেশ প্রযোজ্য হবে যদি বর্তমানে প্রচলিত নিয়মানুযায়ী পদটি বদলিযোগ্য হয়ে থাকে। এই নীতিমালায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আরো বলা আছে, সরকারি ও বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা,দপ্তর, পরিদপ্তর এবং অন্যান্য বদলিযোগ্য কর্মকর্তা যাহারা একই স্থানে বা একই পদে তিন বৎসরের অধিক সময় যাবত কর্মরত আছেন তাদের অবিলম্বে বদলি করতে হবে। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন বছর পর পর বদলির এই রেওয়াজ এমনকি চাকরিজীবী দম্পতিদের জন্যও একই। সরকারি চাকরিজীবী দম্পতিদের জন্য বদলি নীতিমালায় বলা আছে, যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী এবং তাদের স্ত্রীরা উভয়ে একই স্থানে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত আছেন তাদেরও একই পদে ৩ বৎসরের অধিককাল চাকরি হলে বদলি করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে নতুন বদলির স্থানে উভয়ের উপযোগী পদ থাকতে হবে এবং উভয়কে একসঙ্গে বদলি করতে হবে।

শুধুমাত্র শিক্ষা খাত বাদে বাংলাদেশের প্রায় সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে উপরোল্লিখিত নীতিমালা কমবেশি অনুসরণ করা হয়ে থাকে। ক্ষেত্র বিশেষে কিছু ব্যতিক্রমও থাকতে পারে। সেটাও অস্বীকার করা যাবে না। তবে শিক্ষা খাত এ ব্যাপারে সবচেয়ে অবহেলিত। বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা- কর্মচারীদের জন্য বদলি নীতিমালা স্বল্প পরিসরে কার্যকর থাকলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরিরতদের জন্য, বিশেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বদলির তেমন সুষ্ঠু কার্যক্রম নেই। বিক্ষিপ্ত পরিসরে আবেদনের ভিত্তিতে এবং জনস্বার্থে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষকের বদলির আদেশের উদাহরণ পাওয়া গেলেও এখানে বদলির সুষ্ঠু কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হয় না। সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের যেখানে তিন বছর পর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বদলির আদেশ হওয়ার কথা, সেখানে একজন শিক্ষকের একই বিদ্যালয়ে একাধারে বিশ থেকে পঁচিশ বছর কিংবা তারও বেশি সময় পর্যন্ত চাকরি করার উদাহরণ আছে। 

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বিক্ষিপ্তভাবে কিছুটা বদলির সুযোগ থাকলেও  এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বদলির কোনো সুযোগ নেই। এটার কারণ হলো পুরোপুরি সরকারি প্রতিষ্ঠান না হওয়ার কারণে এখানে কোনো বদলি নীতিমালা নেই। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০ হাজার ৩১৬টি। এদের মধ্যে মাত্র ৩৩৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট সংখ্যার মাত্র দুই শতাংশ) সুষ্ঠু বদলি প্রক্রিয়া কার্যকর আছে–এমনটি ধরে নিলেও বাংলাদেশের বাকি আটানব্বই শতাংশ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য কোনো বদলি নীতিমালাই এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি।

আশার বিষয় হলো গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য বদলির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে আলোচিত হচ্ছে। এই আলোচনার মূল কারণ হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক সুপারিশকৃত শিক্ষকদের বেশিরভাগেরই পদায়ন হচ্ছে তাদের নিজ নিজ জেলা থেকে শত শত কিলোমিটার দূরের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। নিজের পরিবার থেকে এমন দূরের কোনো জায়গায় পুরো চাকুরিকাল অতিবাহিত করার বিষয়টি অনেকের শরীর ও মনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাছাড়া, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য বর্তমানে যে বেতন-ভাতার সুযোগ আছে তা দিয়ে বর্তমান বাজারে দুই-তিন জন মানুষের সংসার চালানোই কষ্টসাধ্য। সেখানে শত শত কিলোমিটার দূরের রাস্তা ধরে নিজ জেলায় পরিবারের সঙ্গে মাসে দুই একবার দেখা করতে আসার জন্য গাড়ি ভাড়া জুটবে কীভাবে?

এই কারণগুলো যদিও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির পেছনের উপযুক্ত ও কার্যকরী কারণ নয়, তবুও এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বদলির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কারণ, এই সমস্যাগুলো ধরে একবার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য বদলির রেওয়াজ চালু হয়ে গেলে তা আস্তে আস্তে একটি সুষ্ঠু বদলি নীতিমালায় পরিণত হবে এবং তার মধ্য দিয়ে শিক্ষা প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠানের বদলি কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জিত হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য বদলির নীতিমালা না থাকায় এখানকার প্রায় পঁচানব্বই ভাগ শিক্ষককেই চাকরির শেষ দিন পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে অবসরে যেতে হয়। এতে এদেশের শিক্ষাখাতের বড় ক্ষতিসাধন করে যা আমরা হয়তো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করি না।

অন্যান্য অফিস-আদালতের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন চাকরি করলে তিনিও দুর্নীতিতে জড়িয়ে যেতে পারেন। তিনি উক্ত বিদ্যালয়ের কোচিং বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে পারেন। পরীক্ষার নম্বরের ভয়ভীতি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজের কোচিং এ টানতে পারেন। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা কমিটি ও রুটিন কমিটিতে থেকে অবৈধ প্রভাব খাটাতে পারেন। বোর্ড পরীক্ষার কমিটিতে দীর্ঘদিন থাকার ফলে পছন্দের শিক্ষার্থীর জন্য টাকার বিনিময়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিতে পারেন। সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বিদ্যালয়ের সরকারি-বেসরকারি ফান্ডের যথেচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন ইত্যাদি। মজার ব্যাপার হলো, এগুলো এখন আর কোনো অনুমিত বিষয় নয়, বরং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব আজকাল অহরহ ঘটছে এবং দেশের পত্র-পত্রিকায় সেসব ছাপাও হচ্ছে।

একটি সুষ্ঠু বদলি নীতিমালাই পারে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে। অন্যান্য মন্ত্রনালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে মতো শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রতি তিন বছর পর পর বদলির বিধান চালু করলে সেটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতি ও অনিয়মকে প্রতিহত করতে পারবে। রাতারাতি সব হয়তো সম্ভব হবে না। তবে বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি কলেজ পর্যায়ে বদলির যে সহজ কার্যক্রম চালু হয়েছে তা যদি বাংলাদেশের সকল মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালু করা যায় তবে সেটি হবে বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য একটি বৈপ্লবিক ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ। 

মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা হলো একটি দেশের শিক্ষা খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এখান থেকেই উচ্চ শিক্ষার সিঁড়িতে ওঠে দেশের ভবিষ্যতের কাণ্ডারীরা। এই স্তরে একটুখানি হেলাফেলা ডেকে আনতে পারে শিক্ষা খাতের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। শিক্ষকদের বদলির সুযোগ এখানে প্রণোদনার মতো কাজ করতে পারে। এতে একদিকে তাদের দীর্ঘদিন ধরে এক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার একঘেয়েমি দূর হবে। অন্যদিকে, তাদের নিয়মিত বদলির মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থাকবে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত। এদেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষকের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন হচ্ছে একটি সুষ্ঠু বদলি নীতিমালার অংশীদার হওয়া। কিন্তু, সবার মুখে একই প্রশ্ন, কবে আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ?

লেখক: সহকারী শিক্ষক, পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত - dainik shiksha প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি - dainik shiksha আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির - dainik shiksha আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি - dainik shiksha পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল - dainik shiksha বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029830932617188