শিক্ষক বাকী হ*ত্যার ১০ বছর পর ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, বগুড়া |

১০ বছর পর বগুড়ায় শিক্ষক আব্দুল বাকী নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো ৫০ জনকে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন নিহত বাকীর বাবা ইয়াকুব আলী। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ।  

নিহত আব্দুল বাকী শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে এবং তৎকালীন বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বেনজির,  চন্দন দাস, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল রাজী জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মাশরাফি হিরো, সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার, ছাত্রলীগ নেতা আসাদুর রহমান আসাদ, বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সজীব সাহা, ছাত্রলীগ নেতা স্বপন সরকার, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতাউর রহমান আতা, সাবেক ছাত্রনেতা মশিউর রহমান মন্টি, মুরাদ হোসেন, যুবলীগ নেতা আনন্দ চন্দ্র দাস, নুরুল আমিন শিশির এবং খুররম।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিয়াম মডেলের শিক্ষক আব্দুল বাকী বাসর ঘর সাজানোর জন্য শহরের ফুলপট্টি এলাকায় ফুল কিনতে যান। এ সময় উল্লেখিত নামীয় আসামিরা এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাকীকে ঘিরে ধরে। তারপর তারা সবাই মিলে বাকীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা করে। ওই সময় পুলিশ নিহতের বাবার স্বাক্ষর একটি সাদা কাগজে নিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় প্রভাবশালী নেতা-কর্মীরা নিহতের বাবাকে মামলা না করতে ভয় ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১০ বছর নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে আব্দুল বাকী নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ১৮ জনের নাম এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030651092529297