কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় স্কুলশিক্ষক রবিউল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার রাজিতপুর গ্রামের মোকাদ্দেস আলীর দুই ছেলে ফিরোজ ও দেলবার। ফিরোজের ছেলে সবুজ, দেলবারের ছেলে মিজান, একই গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে হোসেন আলী, সদর উপজেলার গজনবীপুর গ্রামের আফিউদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম এবং ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার সিরামপুর গ্রামের রফিউদ্দিনের ছেলে হেলাল।
তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই পলাতক রয়েছেন। এছাড়া এ মামলার আসামি গোলাম সরোয়ার ও রোবেল রানাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার রনজিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক রবিউল ইসলামকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আবদুল কুদ্দুস আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির এই আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে স্কুলশিক্ষককে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।