আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, একজন শিক্ষক যে কতটা মিথ্যাবাদী হতে পারেন, তা মির্জা ফখরুলকে না দেখলে বুঝতাম না। ফখরুল শিক্ষক মানুষ কিন্তু তার ২১ আগস্ট নিয়ে চরম মিথ্যাচার মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বুধবার (২৩ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যার অঙ্গীকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষকতা একটি মহৎ পেশা কিন্তু তার মিথ্যাচারে কোনো লাভ হবে না। কারণ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার চার্জশিটে তাদের নেতাদেরই নাম আসছে। সে চার্জশিট তো আওয়ামী সরকার দেয়নি। তাদের নেতাদের জবানবন্দির আলোকেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ছদ্মবেশধারী পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি যে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন, তা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়েই তার কর্মকাণ্ডে প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি বলেন, খুনি জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর রাজাকারদের স্থান দিয়েছিলেন মন্ত্রিসভায়। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার আইন বন্ধ করার অপচেষ্টাও করেছিলেন তিনি। এতে কি প্রমাণ হয় না জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন? আজ অনেকেই তাকে খুনি বলে আখ্যায়িত করতে দ্বিধাবোধ করেন। কিন্তু ইতিহাস তো পরিষ্কার তিনিই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত খুনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দীন আহমেদ, মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নীলদল’ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দীন আহমেদ, ‘নীলদল’ এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, অধ্যাপক ড. আশরাফ উল আলম, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেফ্তাহুল হাসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শিক্ষা সার্ভিসের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন সরকারি কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকরা। সেনা শাসক জিয়াউর রহমান সরকারি কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকদেরও ক্যাডার সার্ভিসভুক্ত করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম সরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। সেখান থেকে পদত্যাগ করে তিনি সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হন।