পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় গোলাম মোস্তফা নামের এক শিক্ষককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন কায়েম ও সোহান নামের দুই ভাই। আহত কলেজ শিক্ষক খানমরিচ ইউনিয়নের সুলতান পুর গ্রামের বাসিন্দা ও সিরাজ মন্ডলের ছেলে। তিনি খানমরিচ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের বাংলা বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক। অভিযুক্ত কায়েম ও সোহান নামের দুইজন একই এলাকার বাসিন্দা ও আলী আজগরের ছেলে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খানমরিচ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ১৫-১৬ বছর আগে বাড়ির পাশে জমিতে কিছু গাছ রোপন করেন। গাছগুলো বড় হলে সম্প্রতি তিনি ও তার ভাই মোশারফ মিলে সাংসারিক প্রয়োজনে গাছগুলো বিক্রি করেন। কলেজ শিক্ষকের জমির পাশের জমি আঙ্গুর প্রফেসর ও শাহ আলম বিএসসির। কিন্তু তাদের জমি লিজ নিয়ে ভোগদখল করেন অভিযুক্ত দুই ভাই কায়েম ও সোহান।
কলেজ শিক্ষক গোলাম মোস্তফার দাবি, কোনো সমস্যা হলে ওই জমির পাশ আলের জমির মালিক আঙ্গুর প্রফেসর ও শাহ আলম বিএসসির সঙ্গে হওয়ার কথা। অথচ গাছ বিক্রির আগে একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বললেও তারা কোনো আপত্তি করেননি। কিন্তু শুক্রবার সকালের দিকে তার বিক্রি করা গাছ কাটতে আসলে কায়েম ও সোহান সন্ত্রাসী কায়দায় হাতে লাঠিসোঠা নিয়ে গাছ কাটতে বাধা দেন। এসময় তারা মারমুখী আচরণ ও গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় তাদের এ ধরনের আচরণের ভিডিও ধারণ করতে গেলে কায়েক ও সোহার বেধড়ক পিঠিয়ে আহত করেন। এ সময় আমার বৃদ্ধ বাবা (সিরাজ মন্ডল) এগিয়ে এলে তাকেও ধাক্কা ফেলে দেন তারা। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় আমাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
জানতে চাইলে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. রাশিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় দুইপক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনার বিষয়ে খানমরিচ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোফাজ্জল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষক গোলাম মোস্তফা একজন ভদ্র,বিনয়ী ও নম্র স্বভাবের মানুষ। তার সঙ্গে এমনটা করা মোটেও ঠিক হয় নি। এর সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।