শিক্ষককে হু*মকি দেয়ার অভিযোগ সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিরুদ্ধে

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি |

দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে ঝালকাঠির এক শিক্ষককে হত্যার হুমকি দেয়া ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম কামরুজ্জামান খান। তিনি জেলার রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম বড়ইয়া এলাকার শাহজাহান খানের ছেলে ও পালট মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার। এ পরিস্থিতিতে বর্তমানে বসতবাড়ি ছেড়ে পরিবার ও বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে রাজাপুরে বসবাস করছে ওই শিক্ষক। 

বুধবার রাজাপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক কামরুজ্জামান এ অভিযোগ তোলেন। অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি একই এলাকার মো. ফারুক চকিদার। অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী শিক্ষক সম্পর্কে আত্মীয়।

লিখিত বক্তব্যে ওই শিক্ষক বলেন, আমার বাবা শাহজাহান মাস্টার। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফারুক চৌকিদার ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ওই মামলায় ফারুক চৌকিদারকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। বছর খানেক ফারুক জেল খেটে উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলার ক্ষতিপূরণ বাবদ কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেয়াতে আমার পরিবার লোকজনদের হত্যার হুমকি দেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে রোপন করা ধানের বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট করে ফেলেন তারা। 

শিক্ষক কামরুজ্জামান আরো বলেন, ফারুক সম্পর্কে আত্মীয় হয়। তারা সম্পত্তির দাবি করলেও করে তার কোনো সত্যতা নেই। তাছাড়া বাবার নামেই বিএস রেকর্ড হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এদিকে অভিযুক্ত মো. ফারুক চৌকিদার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, জমি-জমা নিয়ে একটু ঝামেলা আছে। তবে এ নিয়ে সরাসরি কামরুজ্জামানের সঙ্গে কথা হয়নি। আইনের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027480125427246