শিক্ষকতা শুরু করেছেন ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে। বছর পেরুতেই একজন সিনিয়র শিক্ষককে টপকে বাগিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ভার। এখন নিজেকে পরিচয় দেন অধ্যক্ষ হিসেবে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্তির পর অনিবন্ধিত খণ্ডকালীন শিক্ষকদের 'আকাশকুসুম স্বপ্ন দেখিয়ে' এমপিওভুক্তির আশ্বাসে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার ধান্দা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েকজন সহকর্মীকে এমপিওভুক্তি থেকে বাদ দেয়ার জন্য ‘বরখাস্ত’ নাটক করার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের কপি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে জমা হয়েছে।
এমনসব অভিযোগ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নের হাজী চেরাগ আলী কলেজের 'ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ' মহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। বুধবার মাহির উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেছেন, 'সিনিয়র মহিলা শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের ভার চালাতে পারবেন না' বলেই বাধ্য হয়েই অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
কলেজের সহকর্মীরা বলেছেন, কথিত অধ্যক্ষের কথাবার্তায় নারী বিদ্বেষ স্পষ্ট। এমন মানসিকতা নিয়ে শিক্ষকতার মহান পেশার ক্ষতি করবেন মাহের। তার বিরুদ্ধে নিজ এলাকায়ও অনেক অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি উচ্চমাধ্যমিক কলেজটি এমপিওভুক্ত করে সরকার। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটিতে ৫ জন শিক্ষককে ননএমপিও প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। তাদেরই একজন মহির উদ্দিন। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৫ জন স্থায়ী শিক্ষক আর ৮ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক কর্মরত। জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বনে গেছেন মাহের উদ্দিন।
অনিবন্ধিত ও খণ্ডকালীন শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার পাঁয়তারায় 'ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ' মহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, খণ্ডকালীন শিক্ষকরা কখনো এমপিওভুক্ত হতে পারবেন না, তারা নিবন্ধিত না।
এদিকে শিক্ষকতা শুরুর তিন বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বনে যাওয়ার কথা দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে অকপটে স্বীকার করেন মহির উদ্দিন। নিজেকে হাজী চেরাগ আলী কলেজের অধ্যক্ষ পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। আগে থাকতেন রাজশাহীতে।
শিক্ষকতা শুরুর তিন বছরেই ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষককে ডিঙিয়ে অধ্যক্ষ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহের বলেন, 'সিনিয়র শিক্ষক যিনি তিনি মহিলা, প্রতিষ্ঠানের ভার তিনি নিতে পারবেন না বলেই আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছি।'
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।