শিক্ষকদের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিষ্পত্তি না হলে অবসর-কল্যাণ সুবিধা স্থগিত

সুতীর্থ বড়াল, দৈনিক শিক্ষাডটকম |

আর্থিক অনিয়মে জড়িত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অবসর ও কল্যাণ সুবিধা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন কমিটি শুনানির মাধ্যমে এ সব অভিযোগ নিষ্পত্তি করে থাকে। কিন্তু শুনানি হওয়ার আগেই অনেক অভিযুক্ত শিক্ষক অনিয়মের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে অবসরে গিয়ে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। এর ফলে অভিযোগ সংক্রান্ত কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এমন পরিস্থিতিতে অবসর ও কল্যাণ সুবিধা স্থগিত রাখার কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়। 

বিধি অনুযায়ী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। 

পরিদর্শন করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আনীত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের জবাব, জেলা শিক্ষা অফিসার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠান। 

পরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাওয়া জবাব ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন কমিটিতে শুনানীর মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। কিন্তু কমিটিতে শুনানির মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রে ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় না। 

দেখা যায়, নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ফেরতযোগ্য অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়েই অভিযুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা অবসর নিয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। ফলে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্দেশ সফল হয় না। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিষ্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্ট-এর সুযোগ সুবিধা স্থগিত রাখা প্রয়োজন।

এমন পরিস্থিতিতে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীর অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অবসর সুযোগ-সুবিধা স্থগিত রাখা এবং এ অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির অব্যাহতিপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে অবসর সুবিধা এবং কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আইইউটির ৩ ছাত্রের মৃত্যু - dainik shiksha পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আইইউটির ৩ ছাত্রের মৃত্যু অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি বাদ দেয়া উচিত - dainik shiksha অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি বাদ দেয়া উচিত ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম পর্যায়ের ভর্তি আজকের মধ্যে - dainik shiksha গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম পর্যায়ের ভর্তি আজকের মধ্যে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028648376464844