শিক্ষকদের কথার মূল্যায়ন: শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন সামাজিক চুক্তি

মাছুম বিল্লাহ, দৈনিক শিক্ষাডটকম |

এবার আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবসের শ্লোগান হচেছ ‘‘শিক্ষকদের কথার স্বীকৃতি এবং  মূল্যায়ন: শিক্ষা ক্ষেত্রে এক নতুন সামাজিক চুক্তি বা অঙ্গীকার (Recognising and appreciating teachers' voices and working towards a new social contract for education)  শিক্ষকগরা ভবিষ্যত গড়ার ক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সেটাকে সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী বিষয়গুলোতে কার্যকরীভাবে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষকরা যে ভূমিকা পালন করেন সেটা আনঅফিশিয়াল স্বীকৃত।  যেমন  তাঁরা জাতির বিবেক, জাতির অভিভাবক কিংবা সমাজকে সামনে নিয়ে যাওয়ার শক্তি ইত্যাদি। সেই ভূমিকা অনুযায়ী কিন্তু তাদের পলিসি মেকিং পর্যায়ে যেমন কর্তৃত্ব নেই তেমনি স্বীকৃতিও নেই। সেই স্বীকৃতি দেয়া মানে হচেছ সামাজিকভাবে তাদের সঠিক মূল্যায়ন করা যার প্রকাশ ঘটতে হবে রাষ্ট্র কর্তৃক তাদেরকে প্রদত্ত সুবিধাদির মধ্য দিয়ে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই বিষয়টি এখনে সেভাবে ঘটেনি। অন্যান্য পেশার তুলনায় এই পেশায় আগ্রহ কম, যদিও এই পেশার উন্নয়নের ওপরই নির্ভর করে জাতির অন্যান্য কার্যবালীর গুরুত্ব, মান ও সেবা। কারন যে যে পেশাতেই থাকুন না কেন তাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়েই আসতে হয়। এখানকার শিক্ষা যদি তার জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে তাহলে তার ছাপ পড়বে তার পেশায়, উপকৃত হবে সমাজ ও রাষ্ট্র এবং গোটা পৃথিবী তথা মানব সভ্যতা। কিন্তু এই বিষয়টি দেশে দেশে মারাত্মকভাবে উপেক্ষিত আর তাই সমাজে ঘটছে যত অনাচার, অবিচার, দু:স্কর্ম আর অপেশাদারি কাজ। বেসিক জ্ঞানটুকু কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই নিয়ে আসার কথা সেটি সেভাবে হয়নি এবং হচ্ছেনা। এটিকে যেনতেন প্রকারে পার করার প্রচেষ্টা প্রায় জাতির মধ্যেই বিদ্যামান, তার কারণ হচেছ সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করে রাজনীতিবিরা যাদের মধ্যে সিংহভাগের সততা, দেশপ্রেম, মমত্ববোধ ও মানবতা নিয়ে দেশে দেশে প্রশ্ন থেকেই যাচেছ ।  তাদের লক্ষ্য থাকেনা শিক্ষকদের দিকে, থাকেনা মানসম্মত শিক্ষাদানের দিকে, শিক্ষাক্ষেত্র যে পরিমাণ গুরুত্ব পাওয়ার কথা তা পায়না। তাই, শিক্ষকগন কিভাবে সামাজিক চুক্তিতে আবদ্ধ হবেন যেখানে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষমতা থাকবে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনার দিন আজ।  

শিক্ষকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা, শিক্ষকদের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে কাজে নামতে হবে। মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসছেন না, তারা কি চ্যালেঞ্জ ফেস করতে ভয় পান? না। শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় করা, সবার দৃষ্টিকাড়া পেশা কেন হচেছনা? এখানে কি শুধুই রাষ্ট্র দায়ী? শুধুই প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অর্থাৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দায়ী? এখানে দায়ী কমবেশি সবাই কিন্তু মূল ভূমিকায় থাকতে হবে শিক্ষকদের। আমরা কি তাদের সেই ভূমিকায় কখনও দেখতে পাই? যেমন শিক্ষা বিষয়ের বড় বড় পদগুলো কিন্তু শিক্ষকরাই দখল করে আছেন ( ডিজি-মাউশি, ডিজি-নায়েম, চেয়ারম্যান-এনসিটিবি, চেয়ারম্যান- শিক্ষাবোর্ড)। তাদের কাছ থেকে আমরা কি কাঙ্খিত মানের ভূমিকা কখনও দেখেছি? মন্ত্রণালয় যারা পরিচালনা করেন তারা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা, তারা একটু কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করবেন। সেটি স্বাভাবিক কিন্তু তাই বলে দেশের শিক্ষার প্রকৃত  উন্নয়নে, শিক্ষকদের প্রকৃত উন্নয়নে কি শিক্ষা প্রশাসক যারা মূলত শিক্ষক তারা কি সঠিক ভূমিকা পালন করছেন? নাকি তারা প্রচলিত নিয়মকেই আকড়ে ধরে আছেন। সেই আলোচনাও আজ করতে হবে।

শিক্ষকদের অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা থাকতে হবে, প্রণোদনা থাকতে হবে আরও থাকতে হবে চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিযোগিতা। যেমন এবার ৮৯২জন সরকারি কলেজের শিক্ষকদের অধ্যাপক পদে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু এটা কি শিক্ষকদের ক্ষমতায়নের কথা বলে?  শিক্ষাক্ষেত্রে প্রমোশনের প্রয়োজন, অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্রয়োজন, সম্মান প্রয়োজন। কিন্তু এই প্রমোশনের সাথে এগুলো সবগুলো কি সঠিকভাবে যায়? কিসের ভিত্তিতে অধ্যাপক হলেন? শুধুমাত্র এতবছর চাকির করার কারণে কিংবা এতবছর প্রমোশনবঞ্চিত ছিলেন বলে নাকি পেশাগত কোনো প্রতিযোগিতা ছিল যেমন বিভাগীয় পরীক্ষা, পাবলিক্শেন্স, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষায় অবদান, শিক্ষার জন্য এতগুলো সেমিনার, সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন কিছু সৃষ্টি যা অনেককেই অবাক করে দেয়া। যদি এটিই হয় যে, বেতনবৃদ্ধি আর বলতে পারা যে অধ্যাপক তাতে কি পূর্ণ তৃপ্তি আসে, তাতে কি শিক্ষকদের প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতায়ন করা বুঝায়? যদি না বুঝায় তাহলে সেই প্রস্তাব এবং ব্যবস্থা শিক্ষকদের কাছ থেকেই আসতে হবে, আমলাদের কাছ থেকে নয়। শিক্ষা জাতীয়কারণ না শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ নাকি রাষ্ট্র কর্তৃক পুরো দায়িত্ব নেয়া এ বিষয়গুলো কিন্তু আমলারা ঠিক করবেন না, করবেন শিক্ষকগন। প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়েছে কিন্তু তাই বলে তারা কি ক্ষমতায়িত? অন্য চাকরি বাদ দিয়ে কি সবাই সেই সরকারি চাকরির জন্য প্রাথমিক শিক্ষক হচেছন?  এসব  প্রশ্নের উত্তর আমাদের খুঁজতে হবে শিক্ষক দিবসের আলোচনায়। 

আমাদের কলেজের অধ্যাপক আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-সবাই কি একই স্টেচারের? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রমোশনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা, একাডেমিক ও এক্সটা কারিকুলারের ওজন বাদ দিয়ে। এটি যখন করা হয় সেখানে তো কোনো আমলা থাকেন না, থাকেন শিক্ষকরাই। তারা কেন নিজেদের পেশার  জন্য অমর্যাদকার কাজ করছেন কিংবা কাজটিকে সমর্থন করছেন? আবার দলগত রাজনীতির ধার ধরেন না কিন্তু রাজনীতি সচেতন, তাই প্রমোশনও হয়নি এমন শিক্ষকতো আছেন। তাতে কি তাদের ক্ষমতায়ন বন্ধ হয়েছে? সেই শিক্ষকদেরকেই তো মানুষ চেনে, মানুষ সম্মান করে, সমাজ সম্মান করে। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজের একজন অধ্যাপক মানে একটি প্রতিষ্ঠান। অধ্যাপক হবেন তিনি যার কথা দ্বিতীয়বার আর কেউ কোন প্রশ্ন করতে পারবেন না । তাঁর  একাডেমিক অবদান, সামাজিক অবদান, শিক্ষায় নতুনত্বের ক্ষেত্রে অবদান কতটা সেটি সমাজ দেখবে। এভাবে যখন একজন অধ্যাপক হবেন তখন তার দিকে সমাজের দৃষ্টি ঠিকই সম্মানের ও মর্যাদার হবে। আর গড় পড়তায় সবাই অধ্যাপক হলে শিক্ষকদের সেই ক্ষমতায়ন বুঝায় না। 

প্রশাসনিক পদ বাগানোর জন্য কলেজ শিক্ষকগন যখন মরিয়া,  প্রশাসনিক পদ বাগানোই যেন জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য ও প্রাপ্তি! শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকগন প্রশাসনিক পদে আসাটাইকেই জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মনে করেন! তারচেয়েও দু:খজনক হচেছ যেসব পদে অবৈধ অর্থের লেনদেন ও প্রাপ্তি রয়েছে আমাদের মাননীয় শিক্ষকগন ঐসব পদে বসার জন্য যেন পাগলপ্রায়! সমাজ পচনের সবচেয়ে বড় সিম্পটম হচেছ এটা। সরকারি কলেজগুলোতে ভাল ইংরেজির টিচার নেই, ভাল বিজ্ঞানের টিচার নেই অথচ এসব বিষয়ের শিক্ষকগনই দেখা যায় ঐসব পদে বসেন এবং বসার জন্য হেন কোনো তদবীর নেই যে তারা করেন না।  একজন পেশাদার বিষয়  শিক্ষক কত হাজার শিক্ষার্থীর অন্তরে আলো জ্বালাতে পারেন, দেশপ্রেমিক ও মানবপ্রেমিক বিশ্ব নাগরিক তৈরি করতে পারেন  সে হিসেব আমরা করিনা। আমরা পদ কিংবা বিত্তের দিকে বেশি নজর দিই। শিক্ষক সমাজ ও দেশ এটি যতদিন না বুঝবে ততদিন শিক্ষার করুণ ও দৈন্যদশা কাটবে না। সমাজকে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের, তা না হলে সমাজের পচন যে গভীরে চলে গেছে সেটাকে আর কোনোভাবেই রক্ষা করা যাবেনা। কিন্তু রক্ষা আমাদের করতেই হবে। আর পচনশীল সমাজে শিক্ষার মূল্যায়ণ কে করবে, কেন করবে, কিভাবে সেটি করা হবে সেই বিষয়গুলো অমিমাংসিত থেকে যায় এবং তাই যাচেছ।

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলেছে শিক্ষক নির্যাতন আর জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর ঘটনা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে  পরিপত্র জারি করেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবন্দ  হুশিয়ারি উচচারণ করে বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু কোন কিছুতেই যেন কাজ হচেছনা। কারণ এ যে মারাত্মক সামাজিক ব্যধি! এই ব্যাধির প্রকৃত ডাক্তার কারা তাদের আজ খুঁজে বের করতে হবে। একজন রাজনৈতিক সচেতন শিক্ষক কোনো একটি দলকে সমর্থন করতে পারেন কিন্তু তার মহানুভবতা, আদর্শ, কাজ, আচার আচরণ কোনভাবেই তার শিক্ষার্থীকে এতটুক স্পর্শ করবে না।  আর যে শিক্ষক  কোনো দল করে উলঙ্গভাবে, দলের প্রভাব খাঁটিয়ে  অবৈধ কিছু সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেন  সমাজের দৃষ্টি তখন তাদের দিকে তির্যকভাবে পড়ে। একজন প্রকৃত শিক্ষক তাঁর আদর্শ জলাঞ্জলি দিতে পারেন না। সেই জায়গাটি কিন্তু আমরা অনেক শিক্ষক নিজেরাই নষ্ট করেছি, মারাত্মকভাবে নষ্ট করে ফেলেছি! তা না হলে আমাদের দেশে এখনও অনন্য ব্যতিক্রম ছাড়া শিক্ষার্থীরা কিন্তু শিক্ষকদের সাথে এ ধরনের আচরণ করেন না, করতে পারেন না, আমাদের কালচারে নেই, সে যত বড় মাস্তানই হোক। কিন্তু কোথায় যেন কি হয়েছে! অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান আছেন যারা শিক্ষকতার চেয়ে কোনো দলের সার্থে সম্পৃক্ত থাকা এবং সেটিকে পুঁজি করে অনেক কিছু করা, ক্ষমতা প্রদর্শন করা বা প্রভাব খাঁটিয়ে অর্থ উপার্জন করা ইত্যাদি বিষয় ঘটাচেছন যা শুধু দৃষ্টিকটু নয়, সমাজ ধ্বংসের পায়তারা। এ ধরনের শিক্ষকগন নিজেদের অজান্তেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে স্থান করে নিতে পারেন না, সমাজ তাদেরকে অন্যচোখে দেখে। এখানে শুধু সমাজকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। কিভাবে শিক্ষকদের সেই সম্মান জায়গাটি ধরে রাখা যায়, কিভাবে শিক্ষকদের প্রকৃত সম্মান অর্জনের পথে হাঁটা যায় সেটি আজকের মুখ্য আলোচনা হতে পারে। আগামীর পৃথিবী বাসযোগ্য করার ক্ষেত্রে অন্যান্য পেশার চেয়ে শিক্ষকদের ভূমিকা এবং গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয় বরং বহুগুণ বেশি। সেই প্রত্যয় নিয়েই আমাদের আগাতে হবে। পৃথিবীর সমস্ত শিক্ষকদের অভিনন্দন! 

লেখক : ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি - dainik shiksha ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা ঢাবিতে ভর্তি আবেদনের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha ঢাবিতে ভর্তি আবেদনের সময় বৃদ্ধি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ ই-রিকুইজিশনের সংশোধন অপশন চালু - dainik shiksha ই-রিকুইজিশনের সংশোধন অপশন চালু এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক - dainik shiksha এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন ২ হাজার ৯২৩ শিক্ষক - dainik shiksha উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন ২ হাজার ৯২৩ শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029640197753906