কুড়িগ্রামের উলিপুরে আদর্শ এতিমখানা দ্বি-মূখী আলিম মাদরাসার সভাপতি আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ হিসেবে পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেড দেয়ার রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে মোটা অংকের ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছিলো। সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগের সত্যতা মিলেছে তদন্তে।
এ বিষয়ে গত ১১ আগস্ট শিক্ষা বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমে ‘ঘুষ দাবি করে শিক্ষক হয়রানির অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে’ এই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাদরাসা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন।
গতকাল রোববার ঘুষ, চাঁদাবাজি, শিক্ষক হয়রানি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে আদর্শ এতিমখানা দ্বি-মূখী আলিম মাদরাসার সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলে।
তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ্ মো. তারিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তদন্তকালে সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ নেয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে শিক্ষকরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পেশ করা হবে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার আদর্শ এতিমখানা দ্বি-মূখী আলিম মাদরাসায় তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে একজন প্রভাষক ৮৬ হাজার টাকা, অপর একজন ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, আরেকজন প্রভাষক ৯৯ হাজার ও একজন সহকারী শিক্ষক ৬৫ হাজার টাকাসহ মোট ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা পদোন্নতি ও উচ্চতর স্কেলের জন্য গভর্নিং বর্ডির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুর রহমানকে ঘুষ বাবদ দিয়েছেন বলে তদন্ত কমিটির কাছে লিখিতভাবে স্বীকার করেছেন।