শিক্ষকদের গালি : আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করলেন মাদরাসার সেক্রেটারি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি |

নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন দুই যুগ ধরে মাদরাসা কমিটির সেক্রেটারির দায়িত্বে থাকা মো. শাহ নেওয়াজ।

শনিবার সকালে অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকদের গালি দেওয়ার প্রতিবাদে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করলে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

আন্দোলনকারীরা জানায়, জামি’আ আরাবিয়া দারুল উলূম দেওভোগ মাদরাসায়  রাস্তার দুই পাশের মাদরাসার দুটি ভবনের সংযোগ ব্রিজ করার জন্য সরঞ্জামাদি সরিয়ে ফেলতে বলে প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন শাহ নেওয়াজ।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সকাল থেকে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা মূল গেইটের সামনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় তারা মাদরাসার সেক্রেটারি শাহনেওয়াজের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়, মাদরাসা কমিটির সেক্রেটারি বিভিন্ন সময় মাদরাসার হুজুরদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। মাদরাসার ফান্ডে পর্যাপ্ত টাকা থাকা সত্ত্বেও করোনাকালীন সময়ে হুজুরদের অর্ধেক বেতন দেওয়া হয় এবং বোনাস দেননি। মাদরাসার স্টাফদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত রাখেন।

তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন- মাহফিল, খতমে বুখারী ইত্যাদি বিষয়ে সেক্রেটারি হস্তক্ষেপ করেন এবং মাদরাসার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কেনাকাটা তিনি নিজে করেন এবং ইচ্ছামতো ভাউচার দেন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, কমিটি থেকে দানশীল, পরহেজগার, শুভাকাঙ্ক্ষী লোকদের কৌশলে বহিষ্কার করে সেক্রেটারি তার পছন্দের লোকদের নিয়োগ দেন। মাদরাসার যে কোনো উন্নয়নকাজে হস্তক্ষেপ করেন।

তারা আরও বলেন, সেক্রেটারির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক বিদায় করা হয় এবং দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মুহতামিমকে অবগত করেন না। প্রায় ২৫-২৬ বছর যাবৎ একই পদে বহাল আছেন। কমিটি নবায়নের নিয়ম থাকলেও তা ভঙ্গ করে এই পদে বহাল আছেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শনিবার দুপুরে মাদরাসার অফিসকক্ষে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সেক্রেটারি শাহ নেওয়াজ। এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054099559783936