বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির (বাকশিস) প্রতিষ্ঠাতা মহা-সম্পাদক, বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরিবিধি প্রবর্তন, জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং অবসর সুবিধা বাস্তবায়নের রূপকার শিক্ষক বন্ধু অধ্যাপক এম শরিফুল ইসলামের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঢাকা গোল্ডেল কলেজ মিলনায়তনে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) ও বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের (বিপিসি) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন সংগঠন দুটির নেতারা।
স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ ইসহাক হোসেন, অধ্যক্ষ রহিমা খন্দকার, অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ, অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান হাওলাদার, বাকশিস মহাসম্পাদক প্রফেসর ড. এ কে এম আব্দুল্লাহ, অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মাদ ইউসুফ সুমন, ইলিম মো. নাজমুল হোসেন, অধ্যক্ষ রেজাউল হক প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে প্রবীণ শিক্ষক নেতা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার এবং দৈনিকশিক্ষার উপদেষ্টা সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান বলেন, অধ্যাপক এম শরিফুল ইসলাম ছিলেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্দিনের পরম বন্ধু । তাঁর সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্বে দল-মত নির্বিশেষে পুরো শিক্ষক সমাজ অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শামিল হয়ে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান আরও বলেন, প্রয়াত শিক্ষকবন্ধু শরিফুল ইসলামের দীর্ঘদিনের দাবি বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থার সরকারিকরণের বিষয়টি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার সরকারিকরণের আন্দোলনে একাত্ম হয়ে দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই শিক্ষকবন্ধু প্রফেসর এম শরিফুল ইসলামের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শিত হবে। এটি সময়েরও দাবি। সরকারের উচিত অচিরেই বেসরকারি শিক্ষক–কর্মচারীদের সরকারিকরণের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষে বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। তাই সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করতে হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষক বন্ধু অধ্যাপক এম শরিফুল ইসলামের মেধা, নিরলস প্রচেষ্টা এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দলনের সুবাদে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থার মানের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন শতভাগ বেতন ও অবসর সুবিধার অধিকার আদায়ের জন্য তিনি তার জীবনের স্বর্ণ সময়টুকু ব্যয় করেছেন। শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি বহুবার কারাবন্দিও হয়েছেন। এ মহান ব্যক্তিত্ব ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২ ডিসেম্বর পরলোক গমন করেন।