নওগাঁর রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগারিক) সাদেকুল ইসলাম পিটুর অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাণীনগর নিরাপদ সমাজ চাই সংগঠন, স্থানীয় অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর আহ্বানে উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, কয়েক বছর আগে রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কিছুদিন আগেও সেই ভিডিয়ো আবারো সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে। ওই শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এরপরেও রহস্যজনকভাবে ওই প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষক পিটুর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে আমরা মানববন্ধনে রাস্তায় নেমেছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে অপসরণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
রাণীনগর নিরাপদ সমাজ চাই সংগঠনের আহ্বায়ক মেজবাউল হক লিটনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য মতিউর রহমান উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, রাণীনগর নিরাপদ সমাজ চাই সংগঠনের সদস্য মো. কবির, অভিভাবক শহিদুল ইসলাম সুইট, প্রভাষক মারিফুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন টনি, এসএম মঞ্জুর রশিদ, সহকারী অধ্যাপক একেএম জাকির হোসেন, ঘোষগ্রাম কফিলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এমদাদুল ইসলাম এমদাদ, প্রভাষক খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, অভিভাবক মাহমুদুল হাসান মধু ও গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
শেষে নিরাপদ সমাজ চাই সংগঠন ও স্থানীয় অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এক স্মারকলিপি দেয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়টির সভাপতি মোহাইমেনা শারমীন বলেন, শিক্ষক পিটুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।