শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

দৈনিক শিক্ষাডটকম, গাজীপুর |

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাক স্কাউটস স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসড়ক অপরোধ করেন ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রধান মিক্ষকের নানা অনিয়নের অভিযোগে এ মহসড়ক অপরোধ করেন তারা। প্রায় তিন মাস যাবত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। 

মৌচাক স্কাউটস স্কুল এন্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফি আহাম্মেদ জানান, ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের সাথে অসদাচরণ, ছাত্রছাত্রীদের অশ্লীল বকাঝকা, স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়নে চেষ্টা না করা স্কুলে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবী করেন।

  

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যে সকল ছাত্রীছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করেছে তাদের নামে পুলিশের কাছে তথ্য দিয়ে নানা হয়রানীর অভিযোগের কারণে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন। তবে ছাত্রছাত্রীরা উল্লেখ করেন ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় সদস্যদের যোগসাজসে প্রধান শিক্ষক এখনও স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষককে তার পদ থেকে অপরসারণ না করা হবে ততদিন পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। প্রধান শিক্ষকের অপসারণের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এসময় প্রায় আড়াই ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে এবং এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দিলে দুপুর ১টার দিকে রাস্তায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ জানান, আমার কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি একটি সংস্থার মাধ্যমে চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য তাদের একটি নিজস্ব ম্যানেজিং কমিটি রয়েছে। এজন্য ওই অভিযোগপত্রটি ওই সংস্থার নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। শিক্ষক অপসারণের বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। যেহেতু সংস্থা দ্বারা পরিচালত তাই এবিষয়ে সংস্থা কর্তৃক ম্যানেজিং কমিটিই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041029453277588