জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেছেন, ফেনীর দাগনভূঞায় একটি মাদরাসা ২৯ শিশু শিক্ষার্থী শিক্ষকের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ সুপার নিজেই তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই মাদরাসার তিনজন শিক্ষক জড়িত। জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা পুলিশ সুপার একথা বলেন।
২৬ জুলাই এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দাগনভূঞা থানায় মামলা করেন শিক্ষার্থীর অভিভাবক। ওই মামলায় মোজাম্মেল হোসেন নামে
এক শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগে এ ঘটনায় তৎকালীন ওসি তিন মাদরাসা শিক্ষককে আটক করে থানায় আটকে রাখে। মধ্যরাতে মোট অঙ্কের টাকা নিয়ে থানা থেকে তাদের ছেড়ে দেন। আটক তিনজনকেও এ ঘটনায় গ্রেফতার দেখানো উচিত ছিল।দাগনভূঞা থানার নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন-অভিযুক্ত অপর শিক্ষক জিলওয়াল আহমেদ এখনো পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যমতে এবার ১৫ আগস্ট শোক দিবসে হুমকি রয়েছে। যে কেউ নাশকতা করতে পারে। তাই ১৫ আগস্ট কাঙালি ভোজে কিছু মেশাতে যেন না পারে সেজন্য গরু জবাই থেকে কাঙালি ভোজ বিতরণ পর্যন্ত যেন কঠোরভাবে মনিটরিং করা হয়। বিষয়টি ফেনী-২ আসনের সংসদ-সদস্য, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীকে অবহিত করেছেন।