কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল হায়াতের কাছে ৬৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা দাবি করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। নোটিশে তিনি দাবি করেছেন, দেনমোহর ও বিভিন্ন অজুহাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে এসব টাকা নিয়েছেন শিক্ষক আবুল হায়াত।
যদিও শিক্ষক আবুল হায়াতের দাবি, আইনগতভাবে তাদের বিচ্ছেদ না হলেও তিনি ও তার স্ত্রী আলাদা আছেন। তিনি বলছেন, লিগ্যাল নোটিশে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা মিথ্যা।
গত ৪ জুলাই স্ত্রী কানিজ ফাতেমার পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এম সাইফুল আলম ওই শিক্ষককে আইনি নোটিশ পাঠান।
আইনি নোটিশে বলা হয়, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৮ জুন কানিজ ফাতেমার সঙ্গে বিয়ে হয় কুবি শিক্ষক আবুল হায়াতের। বিয়েতে দশ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করাহয়। বিয়েতে শিক্ষককে ১০ লাখ টাকা ফার্নিচার ও সাড়ে ৯ লাখ টাকা স্বর্ণালংকার দেয়া হয়। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষক আবুল হায়াত শ্বশুরের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে আরো ৩০ লাখ টাকা নেন। পরে আরো ৫ লাখ টাকা নেন। তিনি মোট ৬৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। নোটিশে ওই ৬৪ লাখ টাকা স্ত্রীকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ইংরেজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল হায়াত দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এখন আমিও আইনের পথে হাঁটবো।
ওই আইনি নোটিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে। তবে ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস ওই শিক্ষকের পারিবারিক বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, লিগ্যাল নোটিশটি সম্পর্কে আমি জেনেছি। আমি নোটিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পাঠিয়ে দেবো।