শিক্ষকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে পদোন্নতি লাভের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

গোপালগঞ্জে জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রেড পরিবর্তন করে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির (গেজেটেড) কর্মকর্তা হিসাবে পদোন্নতি লাভ ও অবৈধ বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গোপালগঞ্জের এসএম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এ সাবেক সহকারী শিক্ষকের (হিন্দু ধর্ম) নাম স্বপ্না রানী হীরা। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস খান তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন।

ওই বছর ৫ নভেম্বর গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তৎকালীন প্রধান শিক্ষক শুকদেব ভক্ত ও জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা স্নেহাংশু সাহার যোগসাজশে স্বপ্না রানী এসব অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করেন। অবসরকালীন ছুটিতে যাওয়ার পর তার বৈধ প্রাপ্তি ছিল এককালীন প্রায় ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু ইতোমধ্যে তিনি ৬১ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছেন। তিনি বৈধ পেনশনের অতিরিক্ত ২১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে গড়ে আরও অতিরিক্ত সাড়ে ৯ হাজার টাকা উত্তোলনের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। এছাড়া এরমধ্যে দুই কিস্তিতে তিনি পেনশনের বিশাল একটি অঙ্ক উত্তোলন করেন।

স্বপ্না রানী হীরার চাকরির তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এসএসসি পাশ করেন। এরপর ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩ মার্চ ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪০০ টাকা মাসিক বেতনে ধর্মীয় শিক্ষক হিসাবে অস্থায়ীভাবে যোগ দেন। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩৭.০০.০০০০,০৭১.০৪.০৩ (অংশ) ৫৩০ স্মারকে একটি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তাকে গোপালগঞ্জের জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা স্নেহাংশু সাহা দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদায় অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু ওই স্মারক নম্বর ও তারিখে মন্ত্রণালয় এ ধরনের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। চাকরিতে যোগদানের পর ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত কম্পার্টমেন্টাল পরীক্ষায় তিনি এইচএসসি পাশ করেছেন। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের তিনি পিআরএল-এ (অবসরকালীন ছুটি) যান।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

এ ব্যাপারে সাবেক প্রধান শিক্ষক শুকদেব ভক্ত বলেন, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ মে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্মারক নম্বর ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৪.০০৪.০৩ অনুযায়ী স্বপ্না রানী হীরার বই ক্লোজ করা হয়।

গোপালগঞ্জের সাবেক জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও বর্তমানে যশোর সেনানিবাসে ডেপুটি ফাইন্যান্স কন্ট্রোলার স্নেহাংশু সাহা বলেন, যেহেতু তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তাই এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে আগ্রহী নন বলে জানিয়েছেন সাবেক সহকারী শিক্ষক স্বপ্না রানী হীরা।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005457878112793