শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধ*র্ষ*ণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ ছাত্রীর

বগুড়া প্রতিনিধি |

বগুড়ার শেরপুরে সামিট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক মহসিন আলী মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী।

তার অভিযোগ, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ওই প্রতিষ্ঠানে পড়াকালীন ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শিক্ষক মহসিন। গত ৮ বছর ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। এর মধ্যে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত মার্চ মাসে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করেন ওই শিক্ষক।

 

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম বিল্লাল হোসাইনের আদালতে  ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। অভিযুক্ত শিক্ষক মহসিন শেরপুরের মিশিন্ধারা গ্রামের মৃত আমীর আলী মণ্ডলের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। 

এর আগে শিক্ষকের সঙ্গে প্রেমের ঘটনা জানার পর গত মার্চে তাঁকে শেরপুরের বাড়িতে এনে কৌশলে আটকে রাখে পরিবার। গত সোমবার ঢাকায় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা এলাকায় পূর্ববর্তী ঘটনা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার এক পর্যায়ে মাকে ছুরিকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। এতে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। এ সময় তাঁকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মেয়ে ও শিক্ষক মহসিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার পর মহসিন গা-ঢাকা দিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

 

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘অভিযুক্ত মহসিনকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’ 

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। তার পরও একাডেমিক সুপারভাইজারকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক ড. শারমিন চৌধুরী বুধবার বলেন, ‘বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এখনও জানায়নি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’ 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027761459350586