শিক্ষা কমিশন গঠনের আইনগত কাঠামো তৈরি হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’র আলোকে ‘জাতীয় শিক্ষা কমিশন’ গঠনের কাজ শুরু করেছে সরকার। শিক্ষক নিয়োগসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে এ কমিশন গঠন করা হচ্ছে। এর আইনগত কাঠামো তৈরির কাজ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের আইনগত কাঠামো তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

জানা গেছে, ‘জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে এই কমিশন গঠনের আইনগত কাঠামো তৈরির জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে কমিশন গঠনের আইনি কাঠামো তৈরি করতে বলা হয়েছে।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ কমিটির আহ্বায়ক ও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নিরীক্ষা ও আইন শাখার অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা একটি কমিশন গঠনের আইনগত কাঠামো তৈরির কাজ করছি। মন্ত্রণালয় কমিশনের আইনগত কাঠামো তৈরির জন্য কমিটিটি গঠন করেছে। আমরা কাজ করছি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে কয়েকটি সভাও করেছি।  

কমিশনের কাজেও আওতায় কি কি আসছে তা জানতে চাইল তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ কমিশন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক দিক দেখবে। এখনো সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে, আইনগত কাঠামো গঠন হলে বিষয়টি বলা যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

কমিশন শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব পাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কমিশনের দায়িত্ব বা কাজের ধারা কি হবে সে বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা যাচ্ছে না। কমিটি আইনগত কাঠামো তৈরি করে তা জমা দেবে। আমরা সে কাজটিই করছি। 

এর আগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে কমিশন গঠনে আইনের খসড়া তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএকে। এনটিআরসিএ খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। খসড়া তৈরি সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কমিটি গঠিত হবার পর শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশ করার দায়িত্ব আর বিদ্যমান এনটিআরসিএর হাতে থাকবে না। কমিশন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ সব পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ দেবে। 

জানা গেছে, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আদলে স্থায়ী জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে। এটি প্রতিষ্ঠিত হলে ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ) বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তখন সব ধরনের শিক্ষক নিয়োগ দেবে জাতীয় শিক্ষা কমিশন। সে রকম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। কমিশনের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে প্রার্থীরা পরীক্ষা দেবেন ও সরাসরি নিয়োগ পাবেন। মেধাতালিকা বা সুপারিশ করার মত প্রক্রিয়া থাকবে না। একই পদ্ধতিতে সম্প্রতি পিএসসি ননক্যাাডারে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগ দেয় এনটিআরসিএ। 

আগে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে এক সময় নৈরাজ্য পরিস্থিতি ছিল। স্কুল কমিটি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালীদের চাপে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হতো। এ নৈরাজ্য বন্ধ করতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গঠন করা হয়। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এনটিআসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রাক-যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি পরীক্ষা নিয়ে সনদ দেয়া শুরু হয়। সেই সনদের পরও নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে হতো। কিন্তু ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এনটিআরসিএর মাধ্যমেই সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাই হচ্ছে। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002424955368042