ফেসবুকে মানহানিকর তথ্য প্রদানের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর আগে অপর এক অভিযোগ থেকে তিনি ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেয়েছিলেন। চাকরির বায়োডাটায় মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। বিবাহিত হলেও লিখেছিলেন ‘সিঙ্গেল’। এছাড়াও নানা অপকর্ম তো ছিলোই। তখন তিনি বেসরকারি (বর্তমানে সরকারি) রাজধানীর লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন। পরি তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন। প্রাথমিক শিক্ষক প্রথম স্ত্রীর করা মামলায়ও তিনি বরখাস্ত ছিলেন।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন এ অভিযোগ গঠন করেন।
এদিন মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মুনজুর আলম। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামি ৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
অভিযোগ গঠন শুনানির সময় আসামি নিজে কথা বলতে চাইলে আদালত তাকে অনুমতি প্রদান করেন। এসময় আসামি আইনজীবীর ডায়াসে এসে বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা শুনানি ও মিথ্য তথ্য প্রদান করেন। তখন বিচারক তার দেওয়া তথ্য যাচাই করে দেখেন তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যার জন্য আসামিকে ভৎসনা করেন বিচারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার সাবেক প্রকল্প পরিচালক। উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা শহর সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০ টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। উক্ত প্রকল্পের সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা আসামি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
আসামির সাবেক স্ত্রী যৌতুক নিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হওয়ায় আসামিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাময়িক বরখাস্ত আদেশকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে বাদীকে টার্গট করে বর্ণিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রমে দুর্নীতির মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক ও ম্যাসেঞ্জারে প্রচার ও শেয়ার করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিরোধী কুৎসামূলক অপপ্রচার চালানোর কারণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত সরকারি নীতিমালা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০২০ এবং সরকারি কর্মচারী (আচরন) বিধিমালা-১৯৭৯ এর সুস্পষ্ট লংঘন।
এ অভিযোগে রমনা থানায় অভিযোগ করেন বাদী। আসামি বর্তমানে নোয়াখালী সরকারি কলেজে হিসাববাজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসাবে কর্মরত আছে। আসামি পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার গোকুলনগর গ্রামের মোঃ হযরত আলীর ছেলে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।