শিক্ষা ক্যাডারদের এমপিওর তথ্য মেলেনি আজও

সাবিহা সুমি |

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে দশ শতাংশ কোটায় নিয়োগ পাওয়া সরকারি কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির তথ্য চেয়েছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। নিয়ম অনুযায়ী, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম শ্রেণি এবং এমফিল ও পিএইচডি থাকলে বেসরকারি স্নাতক কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারে দশ শতাংশ কোটায় সরাসরি সহকারি অধ্যাপক, সহযোগী ও অধ্যাপক পদে নিয়োগের সুযোগ পাওয়ার কথা। কিন্তু গত ১৬ বছর ধরে এই নিয়োগ বন্ধ। এ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের আগের পদে এমপিওভুক্তির প্রমাণপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র তলব করেছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তলবের পর প্রায় ২০ মাস অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা এসব কাগজপত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাননি।

২০২২ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে জারি করা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এমন নির্দেশনা দিয়েছিলো। তাতে পিএসসির বিজ্ঞপ্তি, কোটায় আবেদনের ও বিশেষ যোগ্যতার 

সনদপত্র অর্থাৎ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম শ্রেণি ও এমফিল-পিএইচডির সনদ পাঠাতে বলা হয়েছিলো। একইসঙ্গে পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া স্নাতক বা ডিগ্রি পর্যায়ের পাঠদানের অভিজ্ঞতার সনদ, যে প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতার সনদ নিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন সেটিতে সে সময়ে ডিগ্রি বা স্নাতক চালু থাকার প্রমাণপত্র পাঠাতে বলা হয়েছিলো। আর আগে কর্মস্থলে বিমুক্তি পত্র, চাকরিতে প্রথম যোগদানপত্র, সব পদোন্নতি প্রজ্ঞাপন ও যোগদানপত্র, ইনসার্ভিস উচ্চতর ডিগ্রি নিলে অনুমতি ও শিক্ষা ছুটির আদেশের কপি জমা দিতে হবে অধিদপ্তরে। একইসঙ্গে কর্মকর্তারা যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন সে প্রতিষ্ঠান ও কর্মরত পদে এমপিওভুক্ত হওয়ার প্রমাণপত্র (যার কর্মকাল দশ শতাংশ কোটায় আবেদনের অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখানো হয়েছে) পাঠাতে বলা হয়েছিলো শিক্ষকদের। আর এমফিল বা পিএইচডির ক্ষেত্রে থিসিসের শিরোনাম ও প্রতিষ্ঠানের নাম।

প্রসঙ্গত, সরকারি কলেজে শিক্ষকতার সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২০ শতাংশ কোটা চালু করেছিলেন। 

পরে সামরিক সরকারের আমলে তা দশ শতাংশে নামিয়ে দেয়। বর্তমানে শিক্ষার বিভিন্ন অধিদপ্তর, দপ্তর, বোর্ড এবং সরকারি কলেজ ও মাদরাসায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক কর্মরত। আর মোট জনবলের দশ শতাংশ কোটায় নিযুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একশোর মতো কর্মরত। তাদের মধ্যে ৫০ জনের মতো আবার পদোন্নতি জটিলতায় আটকে আছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এমপিওভুক্তির নতুন আদেশ জারি - dainik shiksha এমপিওভুক্তির নতুন আদেশ জারি জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি কুবির বঙ্গবন্ধু হল ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন - dainik shiksha কুবির বঙ্গবন্ধু হল ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি - dainik shiksha ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক - dainik shiksha এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031039714813232