সরকারি কর্মকর্তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার দৈনিক আমাদের বার্তার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানলাম। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালায় গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব বা সমমানের কর্মকর্তা (৫ম গ্রেড) ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে একজন সরকারি কর্মকর্তা বা অবসর প্রাপ্ত প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে।
কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তাদের জন্যও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ার পথ খোলা রাখা উচিত। এজন্য সংশোধিত প্রবিধানমালায় গভর্নিং বডির সভাপতি পদে অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব বা সমমানের (৫ম গ্রেড) কর্মকর্তা কথাটিতে অবসরপ্রাপ্ত শব্দটির আগে ন্যূনতম শব্দটি সংযুক্ত করলে ভাল হবে। এতে তৃতীয় বা চতুর্থ গ্রেডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ার পথ খোলা থাকবে। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন এলাকায় তৃতীয় ও চতুর্থ গ্রেডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গভর্নিং বডির সভাপতি পদের জন্য পাওয়া যাবে। এছাড়াও জেলা শহরেও চতুর্থ গ্রেডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গভর্নিং বডির সভাপতি পদের জন্য পাওয়া যাবে।
আরও একটি বিষয় হলো, স্কুল ও কলেজের কমিটিতে সদস্যদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস করা উচিত। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে অভিভাবক সদস্য এবং বিদ্যোৎসাহী সদস্য হতে হলে ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান পাস হতে হয়। সভাপতি ন্যুনতম স্নাতক পাস হতে হয়। কিন্তু মাধ্যমিক স্কুলের গভর্নিং বডি ও কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যদের ন্যূনতম যোগ্যতার কোনো নীতিমালা নেই।
তাই নিন্মমাধ্যমিক, মাধ্যমিক স্কুল, উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিগ্রি কলেজের ক্ষেত্রেও অভিভাবক এবং বিদ্যোৎসাহী সদস্য ন্যুনতম এসএসসি বা সমমান পাস হওয়ার বিধান করা প্রয়োজন। এসব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক : অধ্যাপক সাইফ উদ্দিন, সাবেক শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা