৫১তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তিনি। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা চলবে। চূড়ান্ত পর্বে ৮২৪ জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করছেন।
প্রতিযোগিতার ৮টি ইভিন্টে শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। ইভেন্টগুলো হলো অ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, বাস্কেটবল, হকি, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও সাইক্লিং। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪৪০ জন ছাত্র ও ৩৮৪ জন ছাত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে সেই পথে। আমাদের বর্তমান লক্ষ্য ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দে উন্নত সম্মৃদ্ধ, টেকসই বাংলাদেশ গড়ার। দেশ গড়বার জন্য যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সম্ভাবনাকে সম্ভব করতে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের তৈরি করতে হবে। সেই তৈরি হওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তাদেরকে সুস্থ্য ধারায় সুন্দর মন নিয়ে কর্মের লক্ষে এগিয়ে যেতে পারে। তারই অংশ হিসাবে বিগত শিক্ষাব্যবস্থাকে রুপান্তর করা হয়েছে।
পাঠ্যবই নিয়ে তিনি বলেন, একশ্রেণির মানুষ পাঠ্যবইয়ের তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের ভুল থাকলে আমরা তা সংশোধন করবো। যারা মিথ্যাচার করছে সেই অপশক্তি ও অপচেষ্টাকারীদের প্রতিহত করবো ঐক্যবদ্ধ থেকেই। আপনারা কেউ অপপ্রচারে কান দেবেন না।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.আহসান হাবিব। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. ওমর ফারুক, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার, জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার।
জানা গেছে, জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ, দ্বিতীয় হওয়া প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার ও তৃতীয় প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার দেয়া হবে। এছাড়া বিজয়ী প্রতিযোগিদের ট্রফি, মেডেল, প্রাইজবন্ড ও সনদপত্র দেয়া হবে।