শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্ক

দৈনিক শিক্ষা প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষা প্রতিবেদক:  শিক্ষার বিভিন্ন অধিদপ্তর, দপ্তর ও শিক্ষা বোর্ডগুলোতে বদলি আতঙ্ক বিরাজ করছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বড় সরকারি কলেজে ও বিভিন্ন প্রকল্পে সিন্ডিকেট ম্যানটেন করে বছরের পর বছর কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদর মধ্যে বদলি আতঙ্ক বেশি। যারা গত পাঁচ বছর দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত ছিলেন তারা বদলি আতঙ্কের পাশাপাশি নতুন করে কীভাবে টিকে থাকা যায় তার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। শিক্ষা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুন শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিযোগীতামূলক বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা সুদূর চাঁদপুরের অখ্যাত বেদরকারি কলেজের একজন কুখ্যাত অধ্যক্ষের বাড়ীতে ঘন ঘন যাতায়াত করে ক্যাডারের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করেছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক বেশি।

গত পাঁচ বছর শিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত থেকে নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য করা একজন সমিতির নেতা রয়েছেন সবচেয়ে আতঙ্কে। গত ১৫ বছরে তিনি ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষা অধিদপ্তরে সবচাইতে বেশি অনিয়ম করেছেন মর্মে মতামত দিচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডারের একাধিক সৎ ও সিনিয়র কর্মকর্তা।  এছাড়া কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই হঠাৎ চাঁদপুরের এক কলেজ থেকে সরাসরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক পদে আসা এক পরিচালকও বদলি আতঙ্কে। এছাড়া অধিদপ্তরের এসিআর শাখার একজন জুনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আত্তীকৃত শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

 প্রশাসন শাখার একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিজের এখতিয়ার ও মেধার বাইরে গিয়ে ‘মাতবরি’ করার অভিযোগ গত চার বছর ধরে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বদলি বাণিজ্য চালিয়েছেন দেদার। 

এছাড়া পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের একজন নারী উপপরিচালকের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতে, তিনি কবে কলেজে চাকরি করেছেন তা ভুলে গেছেন। অথচ সরকার তাকে নিয়োগ দিয়েছিলো প্রভাষক হিসেবে আর তার শেষ পদ অধ্যাপক।  এই দপ্তরে বাড়ৈ সিন্ডিকেটের সদস্যরাও আতঙ্কে আছেন।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা বদলি আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা যায়। 

বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তায়। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
‘বারাসাত ব্যারিকেড’ ঘোষণা তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ‘বারাসাত ব্যারিকেড’ ঘোষণা তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের রাতারাতি সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব না - dainik shiksha রাতারাতি সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব না মনোনীত হয়েও বৃত্তি থেকে বঞ্চিত রাবির ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী - dainik shiksha মনোনীত হয়েও বৃত্তি থেকে বঞ্চিত রাবির ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার বেরোবির সাবেক প্রক্টর - dainik shiksha আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার বেরোবির সাবেক প্রক্টর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে মাদরাসা-ই-আলিয়ার ভবনে অস্থায়ী আদালত বন্ধের দাবি - dainik shiksha মাদরাসা-ই-আলিয়ার ভবনে অস্থায়ী আদালত বন্ধের দাবি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি নিয়ে নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি নিয়ে নতুন নির্দেশনা বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল - dainik shiksha বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024900436401367