শিক্ষাক্রম ভাবনা : শরীফার গল্প নিয়ে এন আই খানের মন্তব্য

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

পাঠ্যবইয়ে শরীফার গল্প প্রসঙ্গে সম্প্রতি এক টিভি টকশোতে সাবেক শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, যারা বইটি লিখেছেন তারা প্রথমেই এটাকে মূল পাঠ্যতে না দিয়ে সহপাঠ্যে দিতে পারতেন। সহপাঠে যদি মানুষ গ্রহণ করতো তাহলে মূল বইয়ে আন যেতো। গ্রহণ না করলে বাদ দেয়া যেত। তার কারণ আমাদের সোসাইটি কনজারভেটিভ। 

একই সঙ্গে বই ছিঁড়ে ফেলা শিক্ষকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যে ইয়ং ম্যান বিদ্রোহী ভাব নিয়ে সমালোচনা করেছেন, উনি অন্যভাবে বিষয়টা প্রকাশ করতে পারতেন। তার কোনো আপত্তি থাকলে প্রথমে এনসিটিবিতে যেতে পারতেন, তারপরে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের কাছেও যেতে পারতেন। তারা যদি সাড়া না দিতেন তাহলে বলতে পারতেন। তবে বলার বিভিন্ন ভঙ্গি আছে। বিষয়টা লিখিতভাবেও বলা যেতো। কিন্তু এভাবে বইছেঁড়া, ওভাবে কথা বলাটা অনুচিত হয়েছে। ওই শিক্ষক এটাও বলেছেন, দেশে কোনো আইন নেই। এটা ভুল। ওই শিক্ষকের এক্সপ্রেশনটাই ভিন্ন। তার কারণ দেশের কালচারটাই এরকম। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র পুলিশ বা প্রশাসনের কাউকে মার দিতে পারে তাহলে সবাই বাহবা দেয়। এটা আসলে শিক্ষার অভাব, চিন্তা-চেতনার অভাব। আমাদের দেশে কিন্তু প্রকাশ্যে পেশাব করার নিয়ম নেই। বিদেশে আমরা দেখেছি ছাত্র এবং শিক্ষক দাঁড়িয়ে একই জায়গায় পেশাব করে। এটা হচ্ছে কালচারাল ইস্যু। শিক্ষার অন্তত থার্টি পার্সেন্ট কালচার। কোনো একটা কিছু ইন্ট্রোডিউস করতে হলে কালচারাল বিষয়টা মাথায় নিতে হবে। তারপর এগোতে হবে।

আর কিছু একটা হলে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ বা অকারণে লাফ দিয়ে পড়া নিতান্তই নির্বুদ্ধিতা। তারা মনে করে সমাজে ভালো করবেন। কিন্তু আসলে তারা সমাজে ক্ষতি করেন। ছেলেদের রাস্তায় নামিয়ে দেয়া কিছুতেই ভালো হয়নি।

এক প্রশ্নের উত্তরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের ছাত্রদের মনে হয় পড়াশুনার চাপ কম। যেভাবে কোনো কিছু হলে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েন…. তাদের এতো সময়! কারা তাদের অর্গানাইজ করে সেটাও দেখার বিষয়।

সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ট্রানজিশনাল পিরিয়ড আসছে, পরিবর্তন হচ্ছে। তারপর সবই ঠিক হয়ে যাবে। তবে যখন সময় পরিবর্তন হয় তখন সতর্ক থাকতে হয়। সরকারকে, সমাজকে, যারা সমাজের জ্ঞানীগুণী মানুষ, সবাইকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা আছেন, এ বিষয়ে শিক্ষক, তারা নিঃসন্দেহে সচেতন হবেন।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত - dainik shiksha প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি - dainik shiksha আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির - dainik shiksha আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি - dainik shiksha পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল - dainik shiksha বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003000020980835