শিক্ষাক্রমে সমাজ বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা

তন্ময় কুমার হীরা |

শিক্ষা ব্যক্তির জন্য দরকারি আর সমাজের জন্য জরুরি। ব্যক্তি শিক্ষা ছাড়া কোনোভাবে হয়তো টিকে থাকতে পারে। কিন্তু সমাজ শিক্ষা ছাড়া একেবারেই বাঁচে না। সেজন্য রাষ্ট্র নিজ উদ্যোগে সমাজে শিক্ষার আয়োজন করে থাকে। আমাদের রাষ্ট্র চেতনার মূলে রয়েছে মুক্তি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা, সমাজে কেবল শিক্ষার আয়োজন করেই ক্ষান্ত থাকেনি। শিক্ষাকে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত করেছে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক। আর এবারের নতুন শিক্ষাক্রমে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিছক সনদ উৎপাদন কিংবা অর্থহীন আনুষ্ঠানিকতার প্রথাগত ধারা ভেঙে, প্রতিফলিত হয়েছে সমাজ বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা। সমাজের সঙ্গে রাষ্ট্রের একটি আপাত, সাময়িক সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। সম্প্রতি রাষ্ট্রের সঙ্গে পুরোনো সমাজকাঠামোর এই সংঘর্ষ জমে উঠেছে, সপ্তম শ্রেণির ‘শরীফার গল্পে’র অজুহাতে। রক্ষণশীল, পুরনো সমাজকাঠামোরই এক প্রতিনিধি আসিফ মাহতাব প্রকাশ্যে রাষ্ট্রীয় পুস্তক ছিঁড়ে নতুন শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষাক্রমে প্রত্যাশিত সামাজিক পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী প্রতিক্রিয়া জানান।

শিক্ষাক্রম কোনো আসমানি ব্যবস্থাপত্র নয়। ফলে একটি নতুন শিক্ষাক্রমে ভুল-ত্রুটি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা সেসব ভুল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করতে পারি এবং প্রয়োজনে নিন্দাও করতে পারি। কিন্তু তাতে যুক্তি ও জ্ঞানের পরিচয় থাকা দরকার। পুরোনো ধারার সমাজরক্ষকরা নতুন শিক্ষাক্রমে যে ক্ষোভ ঝাড়ছেন তাতে প্রায় সবক্ষেত্রেই যুক্তি ও জ্ঞানের পরিবর্তে অজ্ঞতাই প্রাধান্য পেয়েছে।

সাম্য, স্বাধীনতা, যুক্তিবোধ, মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষণ ও সামাজিকীকরণের উদ্দেশে রচিত মাধ্যমিক স্তরের ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকটি শিক্ষাক্রমে একটি চমৎকার সংযোজন। সপ্তম শ্রেণির এই বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ের শিরোনাম ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’। এ অধ্যায়ে গল্পের ছলে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও লিঙ্গবৈচিত্র্যময় মানবগোষ্ঠী সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা দেয়া হয়েছে এবং ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-সম্প্রদায়-লিঙ্গ নির্বিশেষে সব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরির প্রত্যাশা করা হয়েছে। এ রকমই একটি গল্পের নাম ‘শরীফার গল্প’। 

প্রথাগত সমাজ, লৈঙ্গিক বিচারে, মানুষকে নারী ও পুরুষ–এই দুই ভাগে ভাগ করে। কিন্তু প্রকৃতি সমাজের এই নিয়ম মানে না। প্রকৃতি তার নিজস্ব খেয়ালে চলে এবং অবচেতনেই তৈরি করে নানা বৈচিত্র্য। প্রকৃতিতে মানুষের লিঙ্গও বৈচিত্র্যময়। প্রকৃতিতে এমন বিচিত্র সব লিঙ্গ বৈশিষ্ট্যের মানুষ রয়েছে যাদেরকে নারী বা পুরুষ এই দুয়ের কোনো একটি খাপে ঠিক ঠাক মেলানো যায় যায় না। এদেরকে ইন্টারসেক্স বলা যায়। এদের মধ্যে যারা জন্মের সময় তাদের ওপর আরোপিত লিঙ্গ পরিচয়ের বাইরে সংগত কারণে অন্য কোনো লিঙ্গ পরিচয়ে পরিচিত হতে চায় তাদেরকে ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামী বলে। 

জন্মের সময় ব্যক্তির ওপর প্রাথমিকভাবে একটি বিশেষ লিঙ্গের পরিচয় আরোপ করা হলেও ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ গঠনকাঠামোর প্রভাবে ও নিয়ন্ত্রণে সে ‘মনে মনে’ একসময় সমাজ-আরোপিত লৈঙ্গিক পরিচয়ের বাইরে ভিন্ন একটি লিঙ্গ পরিচয় কামনা করে। সেজন্য তাকে বলা হয় রূপান্তরকামী । অর্থাৎ রূপান্তর কামনা জন্মগতভাবেই কারো কারো জন্য স্বাভাবিক ও অবধারিত। গল্পের শরীফা একজন রূপান্তরকামী। জন্মের সময় তার বাইরের অবকাঠামো দেখে তাকে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করে তার নাম রাখা হয়েছিলো শরীফ আহমেদ। কিন্তু তার ভেতরের অঙ্গসংস্থান একজন নারীর। এবং সেই ভেতরের অঙ্গসংস্থান বা অভ্যন্তরীণ গঠনকাঠামোর প্রভাবে ও নিয়ন্ত্রণে সে নিজেকে ‘মনে মনে একজন মেয়ে’ ভেবে পরবর্তী সময়ে সে নিজের নাম পাল্টে শরীফা আক্তার রাখে। কিন্তু সমাজ তো ‘অন্ধ’। একটি সুন্দর মানব সমাজ বিনির্মাণ করতে পারলে আমরা হয়তো শরীফাদের অসম্মানিত ও বিতাড়িত হওয়া থেকে রেহাই দিতে পারতাম। শিক্ষাক্রমে সপ্তমের ‘শরীফার গল্পে’ রাষ্ট্রের সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।

জন্মের সময় মানব শরীর কখনো নারী বা পুরুষ এই দু’য়ের যেকোনো এক সাইড পুরোপুরি নিতে পারে না। দেখা যাচ্ছে কারো বাইরের জনন বা যৌন অবকাঠামো নারীর কিন্তু তার অভ্যন্তরীণ যৌন অবকাঠামো পুরুষের রয়ে গেছে। ফলে ওই ব্যক্তির ভেতরে নারী-পুরুষ দু’য়ের বৈশিষ্ট্যই রয়েছে এবং তাকে নারী বা পুরুষ এই দুয়ের কোনোটিই বলে তাকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। আবার দেখা যায় কোনো ব্যক্তির দেহের কিছু কোষ এক্স এক্স ক্রমোজোম এবং কিছু কোষ এক্স ওয়াই ক্রমোজোম থেকে যায়। আবার কোনো কোনো ব্যক্তির লৈঙ্গিক অবকাঠামো তার বয়ঃসন্ধিকালে বা কৈশোরে এসে স্পষ্ট হয়। কারণ, এই সময় মাসিক শুরু হয়, স্তনগ্রন্থি জাগ্রত হয়, শরীরে টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন হরমোন আসতে শুরু করে। ফলে সে তার বয়ঃসন্ধিকালে নিজেকে কখনো ভিন্ন লিঙ্গ বৈশিষ্ট্যের মানুষ হিসেবে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারে। যেমন- কাউকে হয়তো পুরুষ হিসেবে বড় করা হয়েছে কিন্তু কৈশোরে বা বয়ঃসন্ধিতে এসে দেখা গেলো তার শরীরে স্তনগ্রন্থির বিকাশ ঘটতে লাগল এবং নিজেকে একজন ভিন্ন মানুষ হিসেবে আবিষ্কার করল। তখন জন্মকালে নির্ধারিত তার লৈঙ্গিক পরিচয় বদলে আন্তঃলিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এ রকমই একজন মানুষের উদাহরণ শরীফা। ‘শরীফার গল্প’ যে শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেই শ্রেণিতেই শিক্ষার্থী সাধারণত বয়ঃসন্ধিতে বা কৈশোরে পৌঁছে থাকে। ফলে একেবারে যৌক্তিক সময়ে, যৌক্তিক কারণে, যৌক্তিকভাবে শিক্ষার্থীদেরকে ‘শরীফার গল্প’ শোনানো হয়েছে।

একজন মানুষ নারী, নাকি পুরুষ, সেটি আমরা কীভাবে নির্ধারণ করতে পারি? সাধারণ মানুষ যতো সহজে একজন মানুষকে নারী বা পুরুষ বলে চিহ্নিত করে বিষয়টি আসলে ততো সহজ নয়। একজন মানুষের বাহ্য আকার দেখে তাকে নারী বলে চিহ্নিত করলেও ভেতরে ভেতরে বা ‘মনে মনে’ তিনি হয়তো একজন পুরুষ। তার এই মন স্বেচ্ছাচারী মন নয়, শরীরের জৈব-রসায়ন দ্বারা নির্ধারিত মন। এখানে ব্যক্তির নিজস্ব ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো হাত নেই। ‘শরীফার গল্পে’ শরীফাকে বাহিরের দিক থেকে পুরুষ মনে হলেও সে নিজেকে যে একজন নারীই মনে করে, তার এই মনে করা ঐচ্ছিক ব্যাপার নয়। একেবারে অনৈচ্ছিক। এটা যে তার নিজের ইচ্ছার কারণে নয় বরং শরীরের অভ্যন্তরীণ গঠনকাঠামো থেকে বাধ্যতামূলকভাবে আসতো এবং এক্ষেত্রে তার যে কিছুই করার ছিলো না তা প্রমাণিত হয় যখন সে বলে, ‘আমি কেনো এ রকম এ কথা ভেবে আমার নিজেরও খুব কষ্ট হতো’। ফলে নিজের ইচ্ছার কারণে নয়, শরীরের কারণেই মানুষ কখনো নিজে্র রূপান্তর কামনা করে, যেমন রূপান্তরকামী ছিলো শরীফা। ছোটবেলায় সবাই তাকে ছেলে বললেও সে মেয়েদের পোশাক পরতে ভালবাসতো। বোনদের সাজবার জিনিস দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে সাজতো।

একটা বাস্তব উদাহরণ দেয়া যাক। একেবারে সাম্প্রতিক। গত মাসে এক ‘নারী’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন ‘ক্যারিওটাইপিং’ করানোর জন্য। প্রায় এক বছর আগে এক পুরুষের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু সন্তান হয় না। নানা পরীক্ষা করানোর শেষে ক্রমোজোম যাচাই এর পালা। পরীক্ষা করে দেখা গেলো তার ক্রমোজোম বলছে তিনি আসলে একজন পুরুষ (৪৬, এক্স ওয়াই)। তিনি ‘মনে মনে’ নিজেকে একজন পুরুষই ভাবতেন। পরিবার ও সমাজ তাকে নারী ভেবে পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিলেও তিনি আসলে একজন পুরুষ এবং আকৃষ্ট হতেন নারীর প্রতি। চিকিৎসাবিদ্যায় এই রকম উদাহরণের অভাব নেই।

আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। পুরুষরা লৈঙ্গিক ভিন্নততার কারণে নারীকে অবদমন, অসম্মান ও অবমাননা করে। লৈঙ্গিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে আমাদের সমাজে প্রায় কোনো ধারণাই নেই। পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে উন্নত সমাজ জীববিদ্যা ও শরীরবিদ্যার স্বতঃসিদ্ধ সত্যকে মেনে নিয়ে সমাজে লিঙ্গ বৈচিত্র্যের জ্ঞান প্রচার ও প্রতিষ্ঠিত করে, নারী, পুরুষ, রূপান্তরকামী, সমকামী, উভকামী সকল যৌন ও লিঙ্গ বৈশিষ্ট্যের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু আমরা পিছিয়ে আছি হাজার বছর। এজন্যই রাষ্ট্র সমাজে পরিবর্তন এনে সব শ্রেণির মানুষের জন্য একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র উপহার দিতে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করেছে।

বিদ্যালয়ে আমরা শিশুদের নিয়ে কাজ করি। এখানে ভিন্ন ভিন্ন পরিবার ও পরিবেশ থেকে শিশুরা হাজির হওয়ায় তাদের ভেতরে নিয়ত সংঘর্ষ হয়। প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতিদিন সেসব সংঘর্ষের  বিচারিক দায়িত্বও পালন করতে হয়। সংঘর্ষের বিচার করতে গিয়ে দেখা যায়, শিশুরা অপরকে যেসব গালি দিয়ে থাকে তাদের মধ্যে প্রায়ই ‘হিজড়া’ শব্দটিও পাওয়া যায়। শুধু বিদ্যালয়ের আঙিনা নয়, বাঙালি সমাজের সর্বত্রই নিন্দার্থে ‘হিজড়া’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। যে বাহিরে দেখতে পুরুষের মতো তার কাছ থেকে লোকে পুরুষালি আচরণ প্রত্যাশা করে। না পেলে রুষ্ট হয়। এবং তারা অবচেতনেই ‘হিজড়া’ গালি পাড়ে। প্রথাগত, সমাজ নির্ধারিত লৈঙ্গিক ভূমিকা পালন না করতে পারলে লোকে তাকে নিন্দা করে, অসম্মান করে আনন্দিত হয়। এটা আমাদের সমাজের এক গভীর সমস্যা। এই সমস্যা সমাধান করে একটি পরিশোধিত, সত্য, শুদ্ধ, সুন্দর, কল্যাণকামী, নতুন সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যাশ্যায় রাষ্ট্র হাজির করেছে নতুন শিক্ষাক্রম। সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামজিক বিজ্ঞান বইয়ের পাতায় লেখা হয়েছে, ‘ছেলে-মেয়েদের চেহারা, আচরণ, কাজ বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কোনো স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম নেই।’ এ বইয়ে আমাদের নতুন প্রজন্ম শিখবে প্রথাগত লৈঙ্গিক ভূমিকা পালন না করতে পারাটা নিন্দনীয় ব্যাপার নয়। কেবল বাইরের আকার আকৃতি দেখেই কাউকে পুরুষ বা নারী হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। ভেতরকে জানতে হয়। বিজ্ঞানকে জানতে হয়। শরীরবিদ্যা বুঝতে হয়। এবং ব্যক্তির নিজস্ব ইচ্ছা অনিচ্ছাকেও সম্মান জানাতে হয়।

‘শরীফার গল্পে’ সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্ত হয়েছে সম্ভবত  ‘মনে মনে’ শব্দগুচ্ছে। এই বিভ্রান্তি মূলত আমাদের জ্ঞানজাগতিক অগভীরতাজনিত সমস্যা; শব্দকে ভেদ করে গভীরে ঢুকতে না পারার সমস্যা। শব্দের পোশাক ভেদ করে আমরা হৃদয়ের গভীরে ঢুকতে পারি না এবং অযথাই পোশাক নিয়ে পরে থাকি। আমরা নানা সময় যে নানাকিছু মনে করে থাকি, সেই মনে করাটা সবসময় আমাদের ইচ্ছাধীন থাকে না। সেই ইচ্ছার পেছনে থাকে শরীর যন্ত্রের হাত। শরীর আমাদের মনের একটি বড় নিয়ন্ত্রক। আমাদের শরীরে অসুখ হলে মন আপনি খারাপ হয়ে যায়। আবার খিদে লাগলে সে যতোই চেষ্টা করুক তার মনে খাবার ইচ্ছা জাগবেই। আমাদের নিজেদের কোনো হাত নেই এক্ষেত্রে। ব্যক্তি চাইলেও এই মনকে পরিবর্তন করতে পারবে না। কারণ, এটা পুরোপুরি শরীরের ব্যাপার। কেউ চাইলেই ‘রূপান্তরকামী’ হতে পারে না যদি তার শরীরে সেই বৈশিষ্ট্য না থাকে।

এবার এই গল্পের কিছু অসংগতির কথা বলা যাক। গল্পে ইন্টারসেক্স ও রূপান্তরকামীদের কথা বলতে গিয়ে প্রাসঙ্গিকভাবে হিজড়াদের কথাও নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু এখানে হিজড়া এবং আন্তঃলিঙ্গ ও রূপান্তরকামীদের গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। এসব না হলেই ভালো হতো। সমাজ বিনির্মাণে যে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হছ্ছে তার সফল বাস্তবায়ন হওয়া জরুরি। 

লেখক: সহকারী শিক্ষক, উজিরপুর, বরিশাল 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত - dainik shiksha প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি - dainik shiksha আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির - dainik shiksha আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি - dainik shiksha পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল - dainik shiksha বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031161308288574