কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার, প্রশিক্ষণবিষয়ক সামাজিক স্বীকৃতি ও প্রশিক্ষণ দেয়ার কলাকৌশল এবং অভিন্ন মান সংবলিত ‘জাতীয় দক্ষতা নীতি’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় বিস্তারিত আলোচনার পর জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি (এনএসডিপি)-২০২২ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
সরকার গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় ৭ দশমিক ২৫ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সেটি ধরে রাখার এবং আরও বাড়ানোর জন্য উন্নত দেশে উত্তরণের লক্ষ্যে কারিগরি বৃত্তিমূলক শিক্ষা, প্রশিক্ষণবিষয়ক সামাজিক স্বীকৃতি ও প্রশিক্ষণ দেয়ার কলাকৌশল এবং অভিন্ন মান সংবলিত জাতীয় দক্ষতা নীতি-২০২২ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
প্রস্তাবিত এই নীতিতে মোট দশটি অধ্যায় রয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘সেখানে রূপকল্প ও রূপকল্পের ভিত্তিতে দক্ষতা উন্নয়ন, গুণগতমান নিশ্চিত করা, সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দেয়া, সেবা দিতে যে সব জায়গা পিছিয়ে রয়েছে, সে সব জায়গায় প্রবেশগম্যতা বৃদ্ধি, শিক্ষার সুযোগ এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি ইত্যাদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের সার্টিফিকেটগুলো বিশ্বের অনেক দেশ গ্রহণ করতে চায় না।’
সে সব বিষয় লক্ষ্য রেখে প্রবাসে দক্ষতা উন্নয়ন এবং দক্ষতা ও প্রশিক্ষণে শিল্প খাতের ভূমিকা এসব যোগাযোগ শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান কবির বিন আনোয়ার।
তিনি জানান, প্রশিক্ষণবিষয়ক গবেষণা, জরিপ পর্যালোচনা ম্যানুয়াল গাইডলাইন, প্রশিক্ষণের জন্য আর্থিক সংস্থান, টেকসই উন্নয়ন, অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনার বিধান রাখা হয়েছে।
এ সব বিধিমালার আলোকে সরকার পরে কার্যক্রম গ্রহণ করবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আশা করছি, আমরা যে দক্ষতার জায়গায় পিছিয়ে আছি, তা থেকে ধীরে ধীরে উত্তরণ করতে পারব।’