দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রীদের নিয়ে লন্ডনের ২২তম কমনওয়েলথ সম্মেলনে শিক্ষাখাতের অর্জন ও পরিবর্তনের জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা এজেন্ডা ও শিক্ষাক্ষেত্রের সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসাও করা হয়।
সম্প্রতি দুই দিনব্যাপী লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২২তম কমনওয়েলথ সম্মেলন শেষে এ তথ্য জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ শাখা।
সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে অংশ নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সম্মেলনে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিশেষ করে দক্ষিণের বৈশ্বিক শিক্ষাখাতে কঠিন এবং নরম দুই অবকাঠামোতে আরো বেশি আর্থিক বিনিয়োগ করার সময় এসেছে। তিনি বেসরকারি খাত, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বৈশ্বিক তহবিলের সঙ্গে শক্তিশালী উদ্ভাবনী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার সব স্তরে গুণমান এবং অন্তর্ভুক্তিকরণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার প্রচেষ্টার সঙ্গে শিক্ষার বিস্তার ও উন্নতিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্পর্কে সম্মেলনের অবহিত করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের ৬ কোটি মেয়ে ও ছেলেদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গুণসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এসডিজি-৪ এবং আরো ৩ কোটি শিক্ষার্থী জন্য দক্ষতাভিত্তিক উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ।
আমাদের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার আশা ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থিতিস্থাপক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার।
সম্মেলনে নোবেল শান্তি বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বক্তব্য দেন।
এ ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী এশিয়ান কমনওয়েলথের পক্ষে এসডিজি-৪ অগ্রগতির একটি আপডেট দেন। তিনি গাম্বিয়ার উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীদের সঙ্গে ‘দক্ষতা, যুব কর্মসংস্থান এবং শালীন কাজের জন্য শিক্ষা পুনর্বিবেচনা’ বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিলের সহ-সভাপতিত্ব করেন।
পরে তিনি কমনওয়েলথ সচিবালয়ে সম্মেলনের সময় কমনওয়েলথ মহাসচিব আরটি প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কেসির সঙ্গেও দেখা করেন। সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।