শিক্ষাঙ্গনে পানির অপচয়

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

পানির অপর নাম জীবন। শিক্ষাজীবন শুরু হতে দেরি কিন্তু এই চরম সত্য বাক্য শিখতে আমাদের দেরি হয় না। তবে একটা দেশসেরা বিদ্যাপিঠে কেন সেই চরম সত্য বাক্যের অবক্ষয়? বলছি কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের প্রথম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কথা। বিখ্যাত স্থাপতিদের হাতে নকশা করা উঁচু নিচু একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল, মিলনায়তন, জিমনেসিয়ামসহ দক্ষ জনশক্তি এবং এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রাণবন্ত পুরো প্রাঙ্গণ। ভবনগুলোর দেয়াল বেয়ে এঁকেবেঁকে চলেছে পানি বহনকারী পাইপ। ক্যাম্পাসের প্রতিটি ছাদে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাংকগুলোতে পানি বয়ে নিয়ে জমা রাখা এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেওয়ামফ যার একমাত্র কাজ। বৃহষ্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন তাসাকয়া খাতুন ।

নিবন্ধে আরো জানা যায়, সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর আনাগোনায় মুখরিত হলগুলোতে গত দুই বছরে কখনো পানি সংকটে পড়ার অভিজ্ঞতা হয়তো কারও নেই। আবাসিক হলগুলোতে অনবরত পানির এই সরবরাহ সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে দুঃখজনকভাবে আরও একটি বিষয় তুলে না ধরলেই নয়। বাকৃবির প্রায় প্রতিটি হলের ছাদে যে পানির ট্যাংক, প্রায় সময় সেগুলো উপচে অঝোর ধারায় ঝরতে থাকে পানি। শুধু হলগুলোতে না এমনকি বিভিন্ন অনুষদীয় ভবনগুলোতেও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। সকাল দুপুর কিংবা বিকেল ওপর থেকে গড়িয়ে পরতে থাকে এই পানির ধারা।

অমূল্য সম্পদ পানির অপচয় পর্ব এখানেই শেষ নয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহারও এক ধরনের অপচয়। বেশিরভাগ সময় শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় পানির কল ছেড়ে রাখে। এ ছাড়াও কাজ শেষে কলগুলো এমনভাবে বন্ধ করে সেখানে দেখা মিলে অসচেতনতার ছাপ। ফোঁটায় ফোঁটায় পড়তে থাকে পানি, বাড়তে থাকে অপচয়। পরিসংখ্যান মতে, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী জল সরবরাহের প্রায় ৩০% লিক এবং অদক্ষ ব্যবহারের কারণে অপচয় হয়। জানি না বাকৃবিতে পরিমাণটা ঠিক কত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় নামক একটি জায়গায় পানির এই অপচয় কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়।

তাই পানির অপচয়রোধ হোক কিংবা শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশাসনের কিছু কড়া নির্দেশ সত্যিই বড় প্রয়োজন। পানির এই অপচয় রোধে আমাদের প্রত্যেককে হতে হবে সচেষ্ট। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সচেতনতাই পারে ভূগর্ভস্থ পানির বিশাল ভা-ার রক্ষা করতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা কি পারি না অপচয় না করে, সচেতনতার সঙ্গে প্রয়োজন সাপেক্ষে পানির সুষ্ঠু ব্যবহার করতে? কেন নয়, অবশ্যই পারি। আমরা তরুণ প্রজন্ম, আমরা দেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখি। চলুন শপথ করি পানির মতো অপরিহার্য উপাদানের অপচয় আমরা আর করব না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! এবারও ভারতে ছাপা হবে ১ কোটি পাঠ্যবই - dainik shiksha এবারও ভারতে ছাপা হবে ১ কোটি পাঠ্যবই ইউজিসিতে দুইজন নতুন সদস্য - dainik shiksha ইউজিসিতে দুইজন নতুন সদস্য বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক বদরুজ্জামান - dainik shiksha বুয়েটের নতুন ভিসি অধ্যাপক বদরুজ্জামান উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি ওবায়দুল ইসলাম - dainik shiksha উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি ওবায়দুল ইসলাম ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি হতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি বদলি প্রত্যাশীদের - dainik shiksha ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি হতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি বদলি প্রত্যাশীদের নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে যা যা করতে হবে - dainik shiksha ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে যা যা করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন ডিজি আব্দুল হাকিম - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন ডিজি আব্দুল হাকিম কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030269622802734