শিক্ষাবোর্ডে অভিভাবকদের ধরনা, সন্তানের নম্বর বাড়ানোর আব্দার

রুম্মান তূর্য |

আমাদের বার্তা, রুম্মান তূর্য : ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভিড়। অভিভাবকদের অনুনয়-বিনয়, অসম্ভব আব্দার। কান্নাকাটিতে বিব্রত বোর্ড কর্মকর্তারা। এমনটাই এখন নিত্যদিনের দৃশ্য এইচএসসির ফল প্রকাশের পর থেকে। গত ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত ফলে জিপিএ ৫ বা কাঙ্খিত ফল করতে না পারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ধরনা দিচ্ছেন প্রতিদিন। বোর্ডে দায়িত্বরতদের কৃপা ভিক্ষা করছেন। সন্তানকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়াতেই হবে তাদের। তা না হলে সামাজিকভাবে মযার্দা কমে যাচ্ছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সন্তান পিছিয়ে যাচ্ছে। তাই বায়না ধরছেন নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার। এই বায়নাধারীদের মধ্যে সাধারণ মানুষ কম, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মচারীই বেশি। তাদের মনে সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ ভালো ফলের আকাঙ্খা। মানসিকাজুড়ে যে কোনো মূল্যে নম্বর বাড়ানোর সামাজিক ব্যাধি।

নম্বর বাড়াতে বোর্ড আসা এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বললেন, ঢাকার একটি কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়েছি। তবে ইংরেজিতে পেয়েছি এ মাইনাস। যদিও অন্যান্য বিষয়ে ভালো ফল করায় অতিরিক্ত বিষয়ের পয়েন্ট যুক্ত হয়ে সামগ্রিক ফল জিপিএ ৫ হয়েছে। কিন্তু আমার বাবা এতে সন্তুষ্ট নন।  তাই বাবা তার এক বন্ধুর সঙ্গে বোর্ডে পাঠিয়েছেন কোনোভাবে যদি একটু নম্বর বাড়িয়ে নেয়া যায় সে আশায়। 

এমন আব্দার এখন নিয়মিতই শুনতে হয় শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখার কর্মকর্তাদের। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত তারা। তাদের বক্তব্য, নম্বর বাড়ানোর সুযোগ বোর্ডের হাতে নেই, কখনো ছিলোও না। তাই কৃপাভিক্ষা বৃথা। অভিভাবকদের বাস্তবতা মেনে নেয়া ও পুনর্নিরীক্ষা বা খাতা চ্যালেঞ্জের ফলে ভরসা রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এক কর্মকর্তা বলেন, এক বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন নম্বর বাড়ানোর তদবির করতে। তার স্ত্রীর ভাষ্য, সন্তান একটি বিষয়ে এ প্লাস না পাওয়ায় ওই কর্তা ফল প্রকাশের পর দিন থেকে অফিসে যাচ্ছেন না। 

পরীক্ষা শাখার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ফল পরিবর্তনে উচ্চপদস্থরা বোর্ডে এসে আমাদের বিব্রত করছেন। পরীক্ষার্থীদের থেকে অভিভাবকদের আব্দারই বেশি। আমরা তাদের খাতা চ্যালেঞ্জের ফলের অপেক্ষা করতে বলছি। বাস্তবতা ও ভাগ্য মেনে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। কিন্তু, তারা অবুঝের মতো আচরণ করছেন। কেউ কেউ কান্নাকাটি করছেন। 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, পরীক্ষকের দেয়া নম্বরের ওপর বোর্ডের কোনো হাত নেই। এ বিষয়টি আমরা অভিভাবকদের বোঝাই। বাস্তবতা মেনে নিয়ে আগামীর পথে চলার পরামর্শ দেই। আর যারা ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছেন তাদের ফল পাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে বলি। তবে ফল পুনর্নিরীক্ষণে নতুন করে খাতা মূল্যায়ন বা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণ করা হয়। আবেদন করা শিক্ষার্থীর খাতায় কোনো প্রশ্নের উত্তরের প্রেক্ষিতে প্রাপ্ত নম্বর মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে কিনা তা দেখা হয়। খাতায় কোনো প্রশ্ন মূল্যায়ন না হয়ে থাকলে সেটির মূল্যায়ন করা হয়।  

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভিড়। অভিভাবকদের অনুনয়-বিনয়, অসম্ভব আব্দার। কান্নাকাটিতে বিব্রত বোর্ড কর্মকর্তারা। এমনটাই এখন নিত্যদিনের দৃশ্য এইচএসসির ফল প্রকাশের পর থেকে। গত ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত ফলে জিপিএ ৫ বা কাঙ্খিত ফল করতে না পারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ধরনা দিচ্ছেন প্রতিদিন। বোর্ডে দায়িত্বরতদের কৃপা ভিক্ষা করছেন। সন্তানকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়াতেই হবে তাদের। তা না হলে সামাজিকভাবে মযার্দা কমে যাচ্ছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সন্তান পিছিয়ে যাচ্ছে। তাই বায়না ধরছেন নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার। এই বায়নাধারীদের মধ্যে সাধারণ মানুষ কম, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মচারীই বেশি। তাদের মনে সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ ভালো ফলের আকাঙ্খা। মানসিকাজুড়ে যে কোনো মূল্যে নম্বর বাড়ানোর সামাজিক ব্যাধি। 

নম্বর বাড়াতে বোর্ড আসা এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বললেন, ঢাকার একটি কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়েছি। তবে ইংরেজিতে পেয়েছি এ মাইনাস। যদিও অন্যান্য বিষয়ে ভালো ফল করায় অতিরিক্ত বিষয়ের পয়েন্ট যুক্ত হয়ে সামগ্রিক ফল জিপিএ ৫ হয়েছে। কিন্তু আমার বাবা এতে সন্তুষ্ট নন।  তাই বাবা তার এক বন্ধুর সঙ্গে বোর্ডে পাঠিয়েছেন কোনোভাবে যদি একটু নম্বর বাড়িয়ে নেয়া যায় সে আশায়।

এমন আব্দার এখন নিয়মিতই শুনতে হয় শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখার কর্মকর্তাদের। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত তারা। তাদের বক্তব্য, নম্বর বাড়ানোর সুযোগ বোর্ডের হাতে নেই, কখনো ছিলোও না। তাই কৃপাভিক্ষা বৃথা। অভিভাবকদের বাস্তবতা মেনে নেয়া ও পুনর্নিরীক্ষা বা খাতা চ্যালেঞ্জের ফলে ভরসা রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এক কর্মকর্তা বলেন, এক বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন নম্বর বাড়ানোর তদবির করতে। তার স্ত্রীর ভাষ্য, সন্তান একটি বিষয়ে এ প্লাস না পাওয়ায় ওই কর্তা ফল প্রকাশের পর দিন থেকে অফিসে যাচ্ছেন না।

পরীক্ষা শাখার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ফল পরিবর্তনে উচ্চপদস্থরা বোর্ডে এসে আমাদের বিব্রত করছেন। পরীক্ষার্থীদের থেকে অভিভাবকদের আব্দারই বেশি। আমরা তাদের খাতা চ্যালেঞ্জের ফলের অপেক্ষা করতে বলছি। বাস্তবতা ও ভাগ্য মেনে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। কিন্তু, তারা অবুঝের মতো আচরণ করছেন। কেউ কেউ কান্নাকাটি করছেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, পরীক্ষকের দেয়া নম্বরের ওপর বোর্ডের কোনো হাত নেই। এ বিষয়টি আমরা অভিভাবকদের বোঝাই। বাস্তবতা মেনে নিয়ে আগামীর পথে চলার পরামর্শ দেই। আর যারা ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছেন তাদের ফল পাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে বলি। তবে ফল পুনর্নিরীক্ষণে নতুন করে খাতা মূল্যায়ন বা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণ করা হয়। আবেদন করা শিক্ষার্থীর খাতায় কোনো প্রশ্নের উত্তরের প্রেক্ষিতে প্রাপ্ত নম্বর মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে কিনা তা দেখা হয়। খাতায় কোনো প্রশ্ন মূল্যায়ন না হয়ে থাকলে সেটির মূল্যায়ন করা হয়।

 শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ - dainik shiksha পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ সড়ক-রেলপথ ছাড়লেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha সড়ক-রেলপথ ছাড়লেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে সতর্কবার্তা দিলেন সারজিস আলম - dainik shiksha ফেসবুকে সতর্কবার্তা দিলেন সারজিস আলম আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে - dainik shiksha আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা - dainik shiksha শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে - dainik shiksha ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি - dainik shiksha কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023789405822754