বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা জাতীকরণের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন, তাঁর হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে সরকার পুনরায় প্রাথমিক শিক্ষা সরকারিকরণ করেন। শিক্ষক নেতাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যা সমাধান করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বস্তরে শিক্ষা সরকারিকরণের দাবি জানান তারা। শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণের মাধ্যমে একটি উন্নত জাতি গঠনে ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।
বুধবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস পালনে সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নেতারা। সমিতির পক্ষ থেকে পাথর প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে নেতারা আরও বলেন, একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদদাতাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর প্রণিত কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের আলোকে একটি বিজ্ঞান সম্মত, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নেবার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রিয় সভাপতি প্রফেসর ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার। অধ্যাপক মিজানুর রহমান শেলির সঞ্চালনায় এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রফেসর মাহফুজা খানম, প্রফেসর ড. আজিজুর রহমান, প্রফেসর এম. এ. বারী, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অধ্যক্ষ আবু বকর চৌধুরী, প্রফেসর ড. গণেশ রায়, অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাশ, প্রফেসর ড. মাহমুদুর রহমান, অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া, অধ্যাপক ভবরঞ্জন বণিক, অধ্যাপক রওশনুল সংগ্রাম, অধ্যক্ষ আকমল হোসেন, অধ্যাপক আব্দুল জব্বার, অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, অধ্যাপক আশুতোষ রায়, অধ্যাপক সামিরা কুমকুম, অধ্যাপক হামিদুল ইসলাম, অধ্যাপক রোজি মজুদার সেন, অধ্যাপক কাশ্মীর রেজা। ভার্চুয়াল সভায় আরও অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক জহির উদ্দিন মো. শাহীন ও অধ্যাপক লতিফা পারভীনসহ অন্যান্য বাকবিশিস নেতারা।