শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনের জন্য পরিকল্পনা এখন সময়ের দাবি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে শিক্ষা। সেই শিক্ষাব্যবস্থা যদি একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর না দাঁড়ায়, তাহলে উন্নয়ন টেকসই হবে না। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছি। কিন্তু ৫০ বছর পরও আমরা এখন পর্যন্ত একটি শক্তিশালী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারিনি।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে।
সনাতন শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের উপযোগী সমাজ গঠনমূলক একটি সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থার রূপরেখা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই ‘জাতীয় শিক্ষা কমিশন’ গঠিত হয়েছিল। এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন ড. কুদরাত-এ-খুদা। তাঁর নাম অনুসারে পরবর্তী সময়ে রিপোর্টটির নাম রাখা হয় ‘ড. কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট’। এই কমিশন প্রদত্ত রিপোর্টটি ছিল খুবই ব্যাপকভিত্তিক। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তৎকালীন সরকার এই কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের কাজ শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে রিপোর্টটির পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। ২০০৮ সাল পর্যন্ত অন্য কোনো সরকার দেশের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে পারেনি। তবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে, যাকে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সফলতা বলেই মনে করা হয়। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করলেই হবে না, সে শিক্ষানীতির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হলে সেই নীতি প্রণয়ন করার কোনো মূল্য থাকবে না। তবে আশার কথা হচ্ছে, বর্তমান সরকার ধীরে ধীরে শিক্ষানীতির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। রোববার (২৭ মার্চ) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

নিবন্ধে আরও জানা যায়,  সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত আমরা লক্ষ করেছি। বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরেছি। ২০২২ সাল থেকে এই শিক্ষাব্যবস্থার কার্যক্রম পাইলট ভিত্তিতে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে, যেটি পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী বাস্তবায়িত হবে। যদিও এক ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আরেক ধরনের শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তর করা একটি জটিল কাজ।

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা গত ২০ বছর ধরে গ্রেড নির্ভর এক ধরনের অসম প্রতিযোগিতা প্রত্যক্ষ করছি, যা আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেকটা পঙ্গু করে রেখেছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত সব শিক্ষার্থী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে না। অর্থাৎ জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা এত বেশি যে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে তাদের সবাইকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশার কথা হলো, প্রস্তাবিত শিক্ষাব্যবস্থায় গ্রেডের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। চলমান গ্রেড নির্ভরতা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধিকে আরো সংকুচিত করেছে।

গ্রেড নির্ভর শিক্ষার্থীরা যখন উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার স্তরে প্রবেশ করছে, তখন তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা পরিলক্ষিত হচ্ছে। কারণ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে তারা যে পাঠক্রম শেষ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির পর সেই পাঠক্রমের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা স্তরে পাঠক্রমের একটি বিস্তর ফারাক তারা লক্ষ করছে। যদিও এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তবু নতুন পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৪ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে শিক্ষার্থীদের মানের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের অবনমন ঘটেছে গত দুই দশকে। আজ থেকে ১০ বছর আগেও ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় যে ধরনের আনন্দ উপভোগ করতাম সেটি বর্তমান সময়ে একেবারেই কমে গেছে। এর জন্য শুধু শিক্ষার্থীদের দোষ দিলে চলবে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এর জন্য দায়ী। আমরা শিক্ষার্থীদের সময়ের প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্চশিক্ষা স্তরের জন্য প্রস্তুত করতে পারিনি। 

তবে আশার বিষয় হচ্ছে, বর্তমান সরকার গত কয়েক বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের জন্য যেসব বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া প্রয়োজন সেগুলো নেওয়া শুরু করেছে। ইউজিসিকে ক্ষমতায়িত করা হয়েছে উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অ্যাক্রেডিটেশনের জন্য প্রস্তুত করার জন্য, যাতে আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিগুলো আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এর মূল কারণ হলো এখন পর্যন্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিগুলো অ্যাক্রেডিটেশন হচ্ছে না। ইউজিসির মাধ্যমে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাশিউর‌্যান্স সেল গঠন করা হয়েছে, এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি নিশ্চিত করা। এই সেলের মাধ্যমে আউটকাম বেইসড এডুকেশনের (ওবিই) লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাজ করে চলেছে। সনাতন শিক্ষাপদ্ধতিকে ওবিই পদ্ধতিতে রূপান্তর করা সম্ভব হলে শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হবে সে কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের মধ্যে এখনো জবাবদিহির অভাব রয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের একটি বাধা হিসেবে কাজ করছে। আমরা সবাই জানি যে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জাতির বিবেক হিসেবে চিন্তা করে ১৯৭৩ সালে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আইন প্রণয়ন করেছিলেন। এই আইনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যাপক স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছিল এবং জবাবদিহির বিষয়টি তাঁদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এই আইনের অপব্যবহার হওয়ার ফলে এক ধরনের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জগুলোকে মাথায় নিয়ে এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শুধু পাঠদানে ব্যস্ত থাকলে চলবে না। পাঠদানের পাশাপাশি তাঁদের গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে শিক্ষকরা শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণায় তাঁদের সময় ব্যয় করবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গবেষণাবিমুখতা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণাবিমুখতার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং শিক্ষকদের লেজুড়বৃত্তি দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন পদের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের কাছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যতটা সময় ব্যয় করেন, তার চেয়ে অনেক কম সময় ব্যয় করেন গবেষণার জন্য। তবে বিষয়টিকে একেবারেই সাধারণীকরণ করা ঠিক হবে না। কারণ এখনো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষক আছেন, যাঁরা নিজেদের গবেষণায় নিয়োজিত রেখেছেন এবং দেশ ও জাতির জন্য সুনাম অর্জন করে চলেছেন। তবে এটিও ঠিক যে তাঁদের সংখ্যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খুব বেশি নয়। শিক্ষকদের গবেষণাবিমুখতার আরেকটি কারণ হচ্ছে ১৯৭৩ সালের আইনের অপব্যবহার।

১৯৭৩ সালের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের যে নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছিল সেটি এখন পর্যন্ত একই রকম রয়েছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে। একজন শিক্ষক একাধিক প্রকাশনা দিয়ে যদি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে পারেন, তাহলে তিনি কেনই বা গবেষণার জন্য এতটা সময় ব্যয় করবেন। এ ছাড়া যাঁরা গবেষণায় মনোনিবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁদের তেমনভাবে কখনোই পুরস্কৃত করা হয় না। ফলে পুরস্কার ও তিরস্কারের অভাবে শিক্ষকদের একটি বড় অংশ গবেষণাকে একেবারেই পাশ কাটিয়ে শুধু পাঠদানে মনোনিবেশ করছে। এই অংশের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন না বিধায় সার্বিকভাবে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

তবে এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে পরিস্থিতির কিছুটা তারতম্য রয়েছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যরা শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন সেখানে আমরা কিছুটা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি। তবে সেটিও খুব ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে না।

উচ্চশিক্ষা স্তর নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যদি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরিবর্তন না করি এবং উন্নত না করি, তাহলে ভবিষ্যতে এমন একটা অবস্থা তৈরি হতে পারে যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাস করে যাওয়া গ্র্যাজুয়েটরা কোথাও চাকরি পাচ্ছেন না। ফলে সামগ্রিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনের জন্য ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা এখন সময়ের দাবি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণায় মনোনিবেশ করার তাগিদ দিয়ে চলেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য অধিক পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে করপোরেট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কম্পানির মধ্যে যোগাযোগ শক্তিশালী থাকায় গবেষণার জন্য তহবিলের ঘাটতি হয় না। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বায়ন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য উপযোগী একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে।

লেখক : ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন, বিভাগের অধ্যাপক


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026071071624756