সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহছানুল হক মিলন বলেছেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিরাজনীতিকরণ, রাজনীতিকরণ বা অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণ সবই হয়েছে। এসবের কারণে বিদেশি শিক্ষার্থী খুব কম আসে। আন্তর্জাতিক শিক্ষক দেশে নেই বললেই চলে।
এ ছাড়া দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দাঙ্গা-হামলা হচ্ছে, হেলমেট বাহিনী মারামারি করছে। বিদেশিরা মনে করে এখানে লেখাপড়ার পরিবেশ নেই। আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে এসব কারণে পয়েন্ট হারাচ্ছি আমরা। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।মঙ্গলবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন আকতারুজ্জামান।প্রতিবেদনে আরও জানা যায় এহছানুল হক মিলন বলেন, বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বাড়ালেও শিক্ষার গুণগত মানের জন্য সেভাবে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। সরকার শিক্ষার গুণগত মানে বিশ্বাস করে না, তাই শিক্ষায় বরাদ্দ কম। আর এখানে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। ফেল করা ছাত্রও এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। শিক্ষকরা রাজনীতিতে জড়িত হচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা দায়িত্ব পালনের চেয়ে তোষামোদী বেশি করেন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের একেকটি রাজনৈতিক উইং হিসেবে কাজ করছে। এসব নানা কারণে সূচকে পিছিয়ে পড়ছে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক রেপুটেশন, ফ্যাকাল্টি রেপুটেশনও খুব কম।
ড. মিলন বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা খাতে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। শিক্ষকরা থিসিস নকল করছেন। অনেকে কপি-পেস্ট করছেন।
এই শিক্ষকদের প্রমোশন হয় পলিটিক্যালি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতও সন্তোষজনক নয়। গবেষণাগার, ল্যাবরেটরিও যুগোপযোগী নয়। সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষক নিয়োগ হতে হবে মেধার ভিত্তিতে। শিক্ষক ভালো হলে শিক্ষার্থীরা ভালো মানের হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে।আরও পড়ুন : দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন