শিক্ষার মানোন্নয়নের ১০ প্রকল্পে স্থবিরতা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা, অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে শিক্ষার মানোন্নয়নের ১০টি প্রকল্প মুখ থুবরে পড়েছে। চলতি অর্থবছরে গুরুত্বপূর্ণ চারটি প্রকল্পে অর্থায়ন পুরোপুরি স্থগিত করা হয়েছে। মুখ থুবরে পড়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প (১৫০০ কলেজ), সেকেন্ডারি এডুকেশন স্টাইপেন্ড প্রজেক্ট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হওয়া কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, ঢাকা শহরের সন্নিকটবর্তী ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা শহরে ৭টি সরকারি হাইস্কুল স্থাপন প্রকল্প, ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (টিএসসি) স্থাপন প্রকল্প, রাজধানীতে ইইডি’র নিজস্ব ১৩তলা ভবন স্থাপন প্রকল্প অন্যতম।

ইইডি’র ১৩তম ভবন স্থাপন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘একাধিকবার ডিজাইন ও ড্রয়িং পরিবর্তন হয়েছে। নতুন ডিজাইন ও ড্রয়িং এখনও অনুমোদন হয়নি। অথচ কাজ শুরু করতে ঠিকাদারকে চাপ দেয়া হচ্ছে। ঠিকাদার পড়েছে বিপাকে।’

মাউশি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) শীর্ষ কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও গাফিলতির কারণে পুরো উন্নয়ন কার্যক্রমেই স্থবিরতা বিরাজ করছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দুর্নীতিতেও আটকে পড়েছে সরকারের অগ্রাধিকারের একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম। ইতোমধ্যে একটি প্রকল্পের পিডিকে ওএসডি করা হয়েছে। অপর একটি প্রকল্পের পিডিকে শো-কজ করা হয়েছে। এছাড়া ইইডির নিজস্ব প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নও ধীরগতিতে এগুচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ১৬টি প্রকল্পসহ ইইডির অধীনে প্রায় অর্ধশত প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলছে।

মাউশির কয়েকটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হলেও সেগুলোর গাড়িসহ অন্যান্য মালামাল বুঝে পাচ্ছে না সংস্থাটি। এরমধ্যে টিকিউআই, সেকায়েপ অন্যতম। সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামও (সেসিপ) বাস্তবায়ন নিয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে। ঢাকা মহানগরীতে ১১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬টি মহাবিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের কিছু কাজও ঝুলে রয়েছে বলে মাউশি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অর্থায়ন স্থগিত ও দুর্নীতি

জানা গেছে, সরকার করোনা পরিস্থিতিতে চারটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে। প্রকল্পগুলো হলোÑ আইসিটি’র মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন প্রকল্প (আইসিটি প্রকল্প) ২য় পর্যায়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের (৩৩২টি) উন্নয়ন প্রকল্প, ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি এবং সরকারি কলেজসমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্প। এরমধ্যে আইসিটি প্রকল্পটি দুর্নীতির দুষ্টুচক্রে আটকে রয়েছে। বারবার এই প্রকল্পে দুর্নীতি ও লুটপাট প্রমাণিত হলেও বিপদগামী কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তেই রয়েছেন।

আইসিটি প্রকল্পের পিডি’কে (প্রকল্প পরিচালক) গত ১৭ সেপ্টেম্বর শো-কজ (কারণ দর্শনো নোটিস) দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ আগামী জুনে শেষ হচ্ছে। অথচ প্রকল্পের প্রকিউরমেন্ট কনসালট্যান্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ঢাকা শহরের সন্নিকটবর্তী ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) প্রফেসর আমিরুল ইসলামকেও সম্প্রতি ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। ওএসডি হওয়ার কিছুদিন আগে আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এক বছরেরও আগে একটি স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ইইডিকে জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা গাফিলতি করেছে, কাজ শুরু করেনি। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই স্থানে সাধারণ হাই স্কুলের পরিবর্তে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ কারণে নতুন করে ডিজাইন তৈরি করতে হচ্ছে। এসব জটিলতার কারণেই প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’

একাধিক প্রকল্পের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় একটি সিন্ডিকেটের তৎপরতায় গত বছরের ২২ আগস্ট মাউশির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনকে ওএসডি করা হয়। এরপর থেকে মাউশি’র গুরুত্বপূর্ণ ওই পরিচালকের পদটি ফাঁকা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাকালে মাউশি ও ইইডির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা নিয়মিত দফতরে আসছেন না। এমনকি সরকার সবকিছু খুলে দিলেও তাদের একজন এখনও অনিয়মিতভাবে দফতরে আসছেন। অপরজন দাফতরিক কাজ ফেলে রেখে নিজের পদোন্নতির জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে তদবির করে বেড়াচ্ছেন। এসবের প্রতিবাদ করায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নানাভাবে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্প পরিচালকরা দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে নিয়মিত দফতরে না পেয়ে ক্রয় ও ব্যয় সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছেন না। এতে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন স্থবির হয়ে পড়ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল কবির চৌধুরী বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে কারোর সমস্যা হলে আমাদের লিখিতভাবে জানানো হোক, আমরা ব্যবস্থা নেব। অবকাঠামো নির্মাণের বিষয়টি প্রকল্প কর্মকর্তা ও ইইডির দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে যদি ইইডি গাফিলতি করে সেটাও আমাদের জানানো হোক।’

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের (৩৩২টি) উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) প্রফেসর নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মূলত ইইডি ও মাউশির সমন্বয়হীনতা ও অদক্ষতার কারণে প্রকল্পটি স্থগিত হয়েছে। এটি যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প তা ইইডি ও মাউশির শীর্ষ কর্মকর্তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন।’ গত দুই অর্থবছরে এই প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থ ফেরত গেছে বলেও প্রকল্প পরিচালক জানান।

সরকারি কলেজসমূহের বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্পের পিডি প্রফেসর নুরুল হুদা বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকার গুরুত্ব অনুধাবন করেই এই প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। কিন্তু প্রকল্পের অর্থায়ন স্থগিত হলো, অথচ ইইডি ও মাউশির কী কোন দায় নেই?’

নির্ধারিত সময়ে সমাপ্ত না হলেও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত বেসরকারি কলেজসমূহের (১৫০০ কলেজ) উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। প্রায় পাঁচ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ তৃতীয় দফায় বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার সকল প্রকল্পের মেয়াদই এক বছর বৃদ্ধি করেছে।

২০১২ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও দুর্নীতি ও বারবার পিডি বদলের কারণে এই প্রকল্প সময়মতো শেষ হয়নি। পরবর্তীতে কয়েক দফায় এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বর্ধিত সময় অনুযায়ী, আগামী ২০ ডিসেম্বর প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পুনরায় দুই বছর বাড়ছে মেয়াদকাল।

এই প্রকল্পের পিডি প্রফেসর ড. আশফাকুস সালেহীন বলেন, ‘ইতোমধ্যে এক হাজার ৩০৫টি কলেজে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এখন আসবাবপত্র সরবরাহের কাজ চলছে। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে বাকি দুইশ’ কলেজের অবকাঠামো নির্মাণ কাজও শেষ হবে বলে আশা করছি।’

সরকার দেশের অটিজম আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা ও নানা রকম সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে ৫ বছর মেয়াদি ‘ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিজ’ প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পের অধীনে একটি ‘একাডেমিক কমপ্লেক্স’ নির্মাণ করা হবে। প্রায় ৩০৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। পরবর্তীতে মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রকল্প গ্রহণের প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর হতে চললেও কর্মকর্তাদের অদক্ষতার বাস্তবায়ন কাজ শম্ভুক গতিতে এগুচ্ছে। প্রতিবার বরাদ্দ ফেরতও যাচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষা প্রশাসন।

আইসিটি প্রকল্প-২ বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয় ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। গড়ে একটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ স্থাপনে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু প্রকল্প কর্মকর্তাদের দুর্নীতিপরায়ণ মানসিকতার কারণে প্রকল্পের মূল কাজ শুরুই হয়নি। পছন্দের প্রতিষ্ঠান থেকে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, সাউন্ডবক্স ও মডেম ইত্যাদি উপকরণ কেনার জন্য জালিয়াতির আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। শিক্ষক প্রশিক্ষণের ভুয়া বিল বানিয়ে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা আত্মসাতেরও প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি, কিন্তু কারোর শাস্তি হয়নি। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন নাগাদ। আইসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের তিন হাজার ৩৪০টি হাই স্কুলে একটি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার কথা রয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, সাউন্ডবক্স ও মডেম ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে। এখন আইসিটি প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এদিকে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ (টিএসসি) স্থাপন প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে কারিগরি অধিদফতর ও ইইডির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। নির্মাণ কাজের মান, বারবার অবকাঠামোর ‘স্ট্রাকচার’ ও ‘ডিজাইন’ পরিবর্তন করা, ডিজাইন পেতে ঠিকাদারদের নানা রকম হয়রানি, প্রকল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় না করেই একাডেমিক ভবন নির্মাণ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইইডি’র সঙ্গে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের বিরোধ চলছে। ইইডি’র শীর্ষ কর্মকর্তার গাফিলতি ও অদক্ষতার কারণে প্রকল্পের নির্মাণ কাজে হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে ওই প্রকল্পের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027291774749756